বিজ্ঞাপন

‘কার সঙ্গে জোট হবে, তা নির্বাচনের সময় দেখা যাবে’

February 16, 2022 | 4:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কার সঙ্গে জোট করবে, তা নির্বাচনের সময় দেখা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নির্বাচন এখন প্রহসন হয়ে গেছে। নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সরকারি দলের নেতারা বলে বেড়ান, নারায়ণগঞ্জে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট কেমন হয়েছে, তা বলতে চান না। বিষয়টি এমন হয়েছে— সরকার চাইলে ভোট সুষ্ঠু হবে, না চাইলে হবে না। এটা হতে পারে না। তবে নির্বাচনে কার সঙ্গে জোট হবে, তা নির্বাচনের সময় দেখা যাবে।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তিনটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ এখন আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বিশ্বাস করে না। ১৯৯১ সালের পর থেকে দল দু’টি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে সুবিধামতো সংবিধান কাটাকাটি করে গণতন্ত্র ধংস করেছে। এখন কেউ গণতন্ত্রের কথা বললে মানুষ প্রতারণা মনে করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর বিএনপি এসে দেশের আরও ক্ষতি করেছে। বিএনপির পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে রাজনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ করেছে। এভাবেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্র ধংস করেছে। দেশে রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থায় গণতন্ত্র অনেকটাই ছিল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে যা চলছে, তাকে কোনোভাবেই গণতন্ত্র বলা যায় না। এখন কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশের মানুষ অতীষ্ঠ।

এসময় জি এম কাদের আরও বলেন, এখন কিছুসংখ্যক মানুষ দ্রুতবেগে ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে। আর দেশের বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন আরও গরিব হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এখন আর নৌকায় ভোট দেয় না। আবার, বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মর্যাদাসম্পন্ন নেতাকর্মীরাই এখন দলে দলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছে। অনেকেই যোগাযোগ রাখছে, তারাও জাতীয় পার্টিতে যোগ দেবে। দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা জাতীয় পার্টিকে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, দু’টি দলের সর্বোচ্চ অপপ্রচারও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেশের মানুষের অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। পল্লীবন্ধু এখনো গণমানুষের হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে আছেন। যারা ঈর্ষা করে পল্লীবন্ধুকে গালাগাল দিচ্ছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কখনোই সফল হবে না।

বিজ্ঞাপন

সভায় এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দলে আরও গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় মানুষ যোগ দেবে। আাগমী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতি নিয়ে জাতীয় পার্টি গণমানুষের আস্থা অর্জন করবে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে একবুক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমরা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতেই রাজনীতি করছি।

সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রমাণ হয়েছে— শুধু জাতীয় পার্টিই দেশের মানুষের কষ্টের কথা বোঝে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির সঙ্গেই আছে। উজ্জল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি।

সভায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ও কেন্দ্রীয় নেতাসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন