বিজ্ঞাপন

‘সবাই মিলে কাজ করলে দেশ উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে’

April 16, 2022 | 10:52 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আমরা যারা পেশাজীবী আছি, সবাই মিলে কাজ করলে আমাদের দেশ উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘শেকড়ে দিনবদলের অভিযাত্রা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক সন্ধানী বার্তা ও কালের আলো.কমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খানের লেখা বইটি প্রকাশ করেছে নবচিন্তা প্রকাশন।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে তৃণমূলে সরকারের বিপুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে এই বইটি লিখেছেন দৈনিক সন্ধানী বার্তা ও কালের আলো.কমের সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন খান।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কথায় কথায় শুধু বলা হয়, আমরা ভারতকে শুধু দিয়ে গেছি। যারা এসব কথা বলেন, তারা হিসাব দেন আমরা কী দিয়েছি। আমরা ভারতকে দেইনি, বরং নিয়েছি। দহগ্রাম-অঙ্গরপোতা ছিটমহল ইস্যুতে ভারত পেয়েছে ৭ হাজার একর জায়গা, আমরা পেয়েছি ১৭ হাজার একর জায়গা। সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নিয়ে এ বিরোধে আমরা পেলাম ১৯ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার, আর তারা পেল ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের খরচ হয় ৭ টাকার বেশি। অথচ আমরা কিনি সাড়ে ৫ টাকা দিয়ে। তাহলে আমরা নিলাম নাকি দিলাম? এখন কিছু হলেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা আমাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের বিপক্ষে যেতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে স্বাধীনতার ঘোষক পরিবর্তন করা, যুদ্ধাপরাধীদের দেশে নিয়ে আসা, ভারতবিরোধিতা করার মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়েছি। ১৯৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তিনি কাজ করছেন।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গ্রামেও ট্রাফিক জ্যাম হবে। কারণ সবাই টাকার মালিক হবেন এবং গাড়ি কিনবেন, গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। এটা একটা ভিন্ন চিন্তাধারা। গ্রামকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে।’

এর আগে আলোচনায় আসা ‘গ্রামে বাড়ি করতে অনুমতি লাগবে’ ইস্যুকে তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামে কত মানুষের জন্য কতটুকু রাস্তা দরকার, এটা চিন্তা করতে হবে। আর যার টাকা হয়েছে, সে গিয়ে যেখানে সেখানে মাঠের মাঝখানে একটা বাড়ি বানাবেন, এটা থেকে সরে আসতে হবে। আমি যখন এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলাম, যখন আমি কথা বলতে গেলাম, গ্রামে যেকোনো অবকাঠামো করতে হলে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তখন অনেকেই অনেক কথা বললেন, অনেকেই আমার সমালোচনা করলেন। অথচ সরকারের তো সেখানে প্রতিষ্ঠান বলতেই ইউনিয়ন পরিষদ। আমি ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া এর বাইরে কাকে বলব।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ যদি মানুষকে হয়রানি করে, তাহলে আপনারা আমাদের জানাবেন। সরকার তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। তাই বলে তো আমরা প্রক্রিয়াকে বাদ দিতে পারব না।’

ডিবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহনাজ রুমার সঞ্চালনায় এবং নবচিন্তা প্রকাশনের প্রকাশক মো. শামসুল আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজি (এফঅ্যান্ডডি) এস এম রুহুল আমিন, দেশের বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎক ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন