বিজ্ঞাপন

সেই দীপংকর-মুছাই থাকছেন রাঙ্গামাটি আ.লীগের দায়িত্বে

May 24, 2022 | 6:29 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: দীর্ঘ এক দশক পর রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলন থেকে ফের জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন দীপংকর তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন হাজী মো. মুছা মাতব্বর। এর মধ্যে দীপংকর ১৯৯৬ সাল থেকে টানা রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আর মুছা মাতব্বর টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন।

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের কাউন্সিল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির শীর্ষ দুই পদের মধ্যে সভাপতি পদে ‘সিলেকশনে’র মাধ্যমে ও সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।

সবশেষ রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। সাত বছর পর ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের ডাক দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতা ও সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিরা ওই দিন ‘সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না’ জানিয়ে সেদিন সম্মেলন হয়নি। পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই সম্মেলন হলো ১০ বছর পর।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ এক দশক পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে মূলত সভাপতি পদে দুই জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি দীপংকর তালকুদার ও সহসভাপতি নিখিল কুমার চাকমা। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর এবং বর্তমান সহসভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. কামাল উদ্দিন। সম্মেলনে চার ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ সরগরম হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী দীপংকর তালুকদার রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য। আরেক সভাপতি প্রার্থী নিখিল কুমার চাকমা রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান। এর আগে নিখিল কুমার চাকমা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাজী মো. মুছা মাতব্বর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য। মুছা এর আগে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই পদে আরেক প্রার্থী হাজী মো. কামাল উদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য। কামাল উদ্দিন এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় উদ্বোধনী অধিবেশন। সেই অধিবেশন শেষে বিকেল ৩টায় শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন তথা কাউন্সিল। এই অধিবেশনে ‘সিলেকশনে’র মাধ্যমে ফের সভাপতি হন দীপংকর তালুকদার। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলররা ভোট দেন। ১৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মো. মুছা মাতব্বর। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাজী মো. কামাল উদ্দিন পান ১০২ ভোট।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের এবারের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী আসনের খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।

সম্মেলনের শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূমি সমস্যা ছাড়া পাহাড়ের সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। ভূমি সমস্যারও সমাধান হবে।

পদ্মসেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু হয়ে গেছে। আগামী জুন মাসেই উদ্বোধন। মানুষ খুশি, সারাবাংলার মানুষ আনন্দে উল্লিসিত। শুধুমাত্র ফখরুল ও বিএনপি— তাদের বুকে বড় ব্যথা। তাদের বুকে বড় বিষজ্বালা। এই জ্বালাতে তারা দিশেহারা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন