অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ বুলেটিন, টকশো নয়: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো সংবাদ বুলেটিন কিংবা টকশো চালাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, অনলাইন সংবাদপত্রে সংবাদের সঙ্গে ছোট ভিডিও ক্লিপ যেতে পারে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সংবাদ বুলেটিন কিংবা টকশো’র আয়োজন করা যায় না।

রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী টকশো ও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা ছাপা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বা অনলাইন নিউজ পোর্টালের কাজ নয়। এ বিষয়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, সেজন্য আপনাদের (সাংবাদিকদের) ধন্যবাদ। এতে করে আমাদের পক্ষে অন্যদের সঙ্গে কথা বলা সহজ হবে এবং বিষয়টি সহজে উপস্থাপন করা যাবে।

এর আগে, মন্ত্রী বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক করেন। ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে।

ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন বলেন, প্রিন্টিং প্রেসেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন বা অনলাইন সংবাদ পোর্টালে টক শো বা সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের কোনো সুযোগ নেই।

ফোরামের নেতারা এসময় নামসর্বস্ব ও অনিয়মিত পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র ছাপানো বন্ধ ও মিডিয়া তালিকাভুক্তি বাতিল, বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধ, সংবাদপত্রগুলোর প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, অপেশাদার সাংবাদিককে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব না দেওয়া, সম্পাদক ফোরামের সদস্যদের ভিআইপি মর্যাদা প্রদান ও বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি ও পত্রিকার ডিক্লারেশন দেওয়ার ক্ষমতা তথ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করাসহ ১০ দফা দাবি সম্বলিত একটি পত্র মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন।

সম্পাদক ফোরাম উত্থাপিত অন্য বিষয়গুলো নিয়ে প্রেস কাউন্সিল এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কর্মরত সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি হলে তালিকায় সাংবাদিক হিসেবে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই, সেটি বোঝা যাবে। সবার পক্ষে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেওয়া তখন কঠিন হয়ে যাবে।

ড. হাছান মাহমুদ এসময় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন বলে উল্লেখ করেন। বলেন, সব সমস্যার সমাধান দিতে পারব, সেটি আমি বলব না। কিন্তু আমার আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। আপনাদের সহযোগিতায় এরই মধ্যেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। বাকিগুলোরও সমাধান হবে।

ফোরামের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং উপদেষ্টাদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন ও বেলায়েত হোসেন এবং সদস্যদের মধ্যে দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মীর মনিরুজ্জামান, মফিজুর রহমান খান বাবু, রিমন মাহফুজ, নাজমুল আলম তৌফিক ও জগদীশ চন্দ্র সরকার আলোচনায় অংশ নেন।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর