বিজ্ঞাপন

বিএনপি ভোটারদের ভয় পায়: ওবায়দুল কাদের

May 10, 2024 | 6:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ভোটারদের ভয় পায়, তাই নির্বাচনে আসে না। এই ভয় থেকে নির্বাচন বয়কট করে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থতা, এই ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। অনেকে বলেন পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি। আজ কিন্তু আমরা কোনো সমাবেশ করিনি। সমাবেশ আমরা করব, কারণ বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা, রক্তপাত। বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি ছেড়ে দিই, তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যাও হতে পারে। এ কারণে আমাদের থাকতে হয়।’

সমাবেশ থেকে এ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মারামারি, সংঘর্ষ, বিরোধ কিছু হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নাম দিয়েছি শান্তি সমাবেশ, আমরা সেভাবেই শুরু ও শেষ করেছি। আমরা যদি মাঠে না থাকি তাহলে অতীতের অভিজ্ঞতা বলে বিএনপির সমাবেশ মানেই নৈরাজ্য, পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হাসপাতালে হামলা। এটি ২৮ অক্টোবর লক্ষ্য করেছি। আন্দোলন করেছে, আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। আর সেদিন দেখলাম কত যে দ্রুত মঞ্চ থেকে নেমে অলিগলি খুঁজে পাচ্ছিল না, পালাচ্ছিল। পালায় বিএনপি।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিল। সে নেতার আজও দেশে ফেরার সৎ সাহস হয়নি। যে নেতার নির্দেশে বিএনপি চলে সেটি রিমোট লিডারশিপ। নেতৃত্ব যদি দেশে না থাকে সে আন্দোলন কোনো দিন সফল হয় না। আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও ব্যর্থ হয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) মোহাম্মদপুরে আমরা শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেটি বিকেল সাড়ে ৩টা শুরু হবে।’

বিএনপির ভোট বর্জনের পরও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সন্তোষজনক হয়েছে। দেশের কোথাও কোনো সংঘাত হয়নি এটিও সফলতা। বিএনপির বহিষ্কৃত কয়েকজন নেতা স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি উদ্ভট গালগল্প, তাদের নেতাকর্মীরাই শোনে না বলেও মনে করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ভুল আর ব্যর্থতার চোরাগলিতে আটকা পড়ে বিএনপি কোনো কিছু করতে পারছে না, ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে না এলে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারত এদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তাই নিজের দেশকে খাটো করা কিংবা মিথ্যাচারের রাজনীতি বিএনপি করে। কোনো বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসায়নি জনগণের শক্তিতে এ দল ক্ষমতায় এসেছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

এ ছাড়া আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তথা হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে পালনের আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, উপ-দফতর সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন