বিজ্ঞাপন

‘শেয়ারের ক্রয়মূল্যই ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাব’

August 4, 2022 | 6:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুঁজিবাজারে ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থমন্ত্রণালয়ের সুপারিশ মেনে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে বাজার মূল্য ধরে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবেও বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

বিজ্ঞাপন

পুঁজিবাজারে ব্যাংক-কোম্পানির মোট বিনিয়োগের সীমা প্রসঙ্গে সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ২৮৪ এর উপ-ধারা (১) মোতাবেক কোনো ব্যাংকে কোম্পানি কর্তৃক অন্যান্য কোম্পানির শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে সামষ্ঠিক বা এককভাবে কোন কোম্পানির শেয়ার ধারণের সর্বোচ্চ সীমা এবং Consolidated ভিত্তিতে শেয়ার ধারণের সর্বোচ্চ সীমার বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে। যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। সরকারের সাথে পরামর্শক্রমে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, ওই সার্কুলার/সার্কুলার লেটারে বর্ণিত কোনো ব্যাংক কোম্পানি কর্তৃক Salo ও Consolidated-উভয় ভিত্তিতে শেয়ার ধারণের উর্ধ্বসীমা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট শেয়ার, করপোরেট বন্ধ, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল কাজ ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের ‘বাজারমূল্য’ হিসাবায়নের নির্দেশনা অনুসরণীয় হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ২৬৫ এর উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক অন্য কোন কোম্পানির শেয়ার ধারণের হিসাবায়নে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক জাকৃত মূলাতেই ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৪৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।

জানা গেছে, এই সার্কুলার জারির মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষণশীল নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধসের পর নানা সময় ব্যাংকে বিনিয়োগের সীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনা পদ্ধতি পাল্টানোর দাবি ছিল। কোনো শেয়ারের ক্রয়মূল্য বা বাজার মূল্যের মধ্যে যেটি বেশি, সেটি হিসাব করেই এই লিমিট গণনা করা হতো। ফলে শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে ব্যাংকগুলো তা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হতো। এ কারণে বাজারে শেয়ারের বিক্রির চাপ বেড়ে যেত। এতে করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হতো।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, এসব কারণে শেয়ারের ক্রয়মূল্য ধরে এক্সপোজার লিমিট নির্ধারণের দাবি ছিল। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও এই সুপারিশ করে আসছিল। কিন্তু ফজলে কবির গভর্নর থাকাকালে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন গর্ভনর হিসাবে আবদুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনোভাব পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জুলাই এক্সপোজার লিমিটের হিসাব পরিবর্তনে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠায় বাংলণাদেশ ব্যাংক।

চিঠির জবাবে গত ২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফিরতি চিঠিতে একটি কৌশলী মতামত দেওয়া হয়। এতে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকেই বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনায় মত দেওয়া হয়। ফলে এক্সপোজার লিমিটের সংজ্ঞায় বাজারমূল্য থাকলেও কার্যত ক্রয়মূল্যতেই সেটি নির্ধারণের সুযোগ তৈরি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও বিষয়টি স্পষ্ট করে নতুন সার্কুলার জারি করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন