বিজ্ঞাপন

ভোলার ঘটনায় ঢাকায় ছাত্রদলের ‘ম্যারাথন’ সমাবেশ

August 6, 2022 | 1:54 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার নয়াপল্টনে ছাত্র সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ সমাবেশ দুপুর সোয়া ১টায়ও শেষ হয়নি। দুপুরে এ রিপোর্ট লেখার সময় ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমর্থকের উপস্থিতিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খোলা ট্রাকের ওপর নির্মিত মঞ্চে ছাত্রদলের সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে সমাবেশে এরই মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, আমিরুল ইসলাম আলীম, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

এদিকে সমাবেশ শুরুর আগ থেকেই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়কে ত্রিপল বিছিয়ে বসে পড়েন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখোরিত করে তুলছে রাজপথ। সহকর্মীর মৃত্যুর বিচার, দ্রব্যমূল্য হ্রাস, লোডশেডিং কমানো এবং সরকারের পদত্যাগে চেয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আজকের সমাবেশে বক্তাদের জন্য কোনো প্রোটোকল মানা হচ্ছে না। যিনি আচ্ছেন, তিনিই বক্তব্য দিয়ে চলে যাচ্ছেন অথবা বিল্ডিংয়ের ছায়ায় অবস্থান নিচ্ছেন। কিন্তু ছাত্রদলের কর্মী সমর্থকেরা কাঠফাঁটা রোদে সকাল থেকে অবস্থান করছেন। কেউ বিল্ডিংয়ের ছায়ায় গেলেই তাকে ঝেঁটিয়ে রোদে পাঠানো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের সব অর্থনীতিবিদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ‘নিশি রাতের’ প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, ‘অকটেন আমরা নিজেরাই প্রডিউস করি। প্রচুর অকটেন মজুদ আছে। আমরা চাইলে অকটেন রফতানি করতে পারি।’

‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার কথা শুনে মনে হয় আপনি সক্রেটিসের ফুফাতো বোন। আপনি সব বোঝেন। তাহলে আজ ডিজেল, কেরোসিনের, অকটেন, পেট্রলের দাম বাড়ালেন কেন?’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, ‘এই রোদের তাপ আমাদের হৃদয়ের তাপের চেয়ে বেশি নয়। আমরা আমাদের সহকর্মীকে হারিয়েছি। তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। শেখ হাসিনার পতন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকব।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না। এরা যতদিন থাকবে, ততদিন রাজপথে আমাদের নেতাকর্মীর প্রাণ ঝরবে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরবে। সুতরাং আসুন, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন