বিজ্ঞাপন

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অবিবেচনাপ্রসূত: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

August 11, 2022 | 3:08 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে অবিবেচনাপ্রসূত বলে আখ্যা দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় একটি উত্তরণকালীন নীতি সমঝোতার খসড়া’ শিরোনামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অবিবেচনাপ্রসূত ও অনভিপ্রেত। জ্বালানি তেলের মূল্য এতোটা বৃদ্ধি করা ঠিক হয়নি। কেবলমাত্র বৈশ্বিক কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি৷ সরকার এখন ভালো ভর্তুকি কমিয়ে দিচ্ছে, খারাপ ভর্তুকি রেখে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, টাকার মূল্য আরও আগে থেকেই কমানো উচিত ছিল। অর্থনীতিতে সব কিছু ধাপে ধাপে করতে হয়। ধাপে ধাপে করা সব ক্ষেত্রেই সত্য। কারণ অর্থনীতি কখনো শক পছন্দ করে না৷ জ্বালানি তেলের মূল্য এতোটা না বাড়িয়ে অন্য জায়গায় যে সম্পদ ছিল সেটা ব্যবহার করা যেতো। অনেক দিন ধরে রেখে হঠাৎ করে টাকার মান কমানো কিংবা জ্বালানির মূল্য বাড়ানো অর্থনীতির দুর্বলতা প্রকাশ করে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দেবপ্রিয় বলেন, সরকার যদি বলে আইএমএফ’র জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে তাহলে সরকার তার নীতি সার্বভৌমত্ব হারিয়ে ফেলেছে। আইএমএফকে স্বামী গোপাল মেনে কিছু করা, এটা কোনো সম্মানজনক অবস্থান না। তবে যেকোনো ঋণ পেতে কিছু প্রাক পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আইএমএফ বলছে তাই করেছে, সেটা সম্মানজনক অবস্থান নয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সুদের হারের ক্যাপ একেবারে তুলে দেওয়া উচিত হবে না। ব্যাংক সুদের হারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

সরকার নিজেদের ভেতরেই অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছে না মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, সরকার তার নিজের ভেতরেই আলোচনা করে না। স্থায়ী কমিটি কোথায়? তাদের ভেতর আলোচনা কই? সরকার বাইরে আলোচনার আগে তাদের ভেতরে মন্ত্রীসভা, সংসদে আলোচবা করুক। সরকার তার রাজনৈতিক সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করুক। বিরোধীদলের সঙ্গে আলোচনা করুক। সরকার শুধু নামে থাকলে হবে না। সরকারের প্রতি জনমনে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকতে হবে। জনগণ সরকারকে আস্থায় নিচ্ছে না, সেজন্যই আলোচনা প্রয়োজন।

২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক এই দুর্যোগ থাকতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মূদ্রাস্ফীতি, টাকার উপর চাপ, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন প্রকল্প- এসব বিষয়ে যেসব সমস্যা চলছে তা ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত স্থায়িত্ব লাভ করতে পারে। আর আর্থিক খাতে সংস্কারের অভাবই এই খাতে খলনায়ক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। অর্থনীতি এখন আগের চেয়ে গুরুতর হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন