বিজ্ঞাপন

কোন পথে বিএনপি?

September 1, 2022 | 1:43 pm

আসাদ জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ঠিক ৪৪ বছর আগে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল সেনাশাসক জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি হাতে নেন। তিনি যখন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে বিএনপির যাত্রা শুরু হয়। জিয়াউর রহমান এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) ছিলেন বিএনপির প্রথম মহাসচিব। জিয়াউর রহমানের এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থী- সব ধরনের লোক ছিলেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়।

বিএনপির আত্মপ্রকাশের দিন জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জিয়াউর রহমান। নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ মোট ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন জিয়াউর রহমান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২৮ আগস্ট জাগদলের বর্ধিত সভায় দলটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। জাগদল এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সব সদস্য বিএনপিতে যোগ দেবেন মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।

ক্ষমতাবলয়ের মধ্য থেকে জন্ম নেওয়া বিএনপি ৪৪তম বর্ষে এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। টানা ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এখন পথের সন্ধান করছে। কোন পথে গেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে- তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ হয় নি তাদের। আবর ২০১৮ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থেকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে দলটি।

নেতৃত্বের সংকট
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় কারাদণ্ডাদেশ নিয়ে গুলশানের বাসায় একরকম ‘বন্দি’ জীবনযাপন করছেন। শর্তসাপেক্ষে ‘সাময়িক’ মুক্তি এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের সুযোগ তার নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পাড় থেকে ওভার টেলিফোন এবং ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দল চালাচ্ছেন তিনি। আর ঢাকায় হাল ধরে বসে আছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গত কারণেই বিরোধী শিবির থেকে বার বার প্রশ্ন উঠছে- আগামীতে প্রধানমন্ত্রী পদে বিএনপির প্রার্থী কে?

বিজ্ঞাপন

তারেকের একক কর্তৃত্ব নিয়ে কথা বললেই বিপদ
জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করা বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা মন থেকে তারেক রহমানের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেন নি। শুরুর দিকে এ নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বিএনপিকে। সময়ের ব্যবধানে বিষয়টি অনেকটা ‘গা সয়া’ হয়ে যায় দলটির সিনিয়র নেতাদের। তারপরও মাঝে-মধ্যে তারেক রহমানের একক কতৃর্ত্ব নিয়ে দুয়েক কথা বলে ফেলেন কেউ কেউ। ফলশ্রুতিতে তাদের উপর নেমে আসে বহিষ্কার বা নিষ্ক্রিয় করে রাখার খড়গ।

এমনি একটা ঘটনা ঘটেছিল বছর দুয়েক আগে। তারেক রহমানের উপস্থিতিতে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় দল পরিচালনায় ‘লোকাল কমান্ডার’ ঠিক করার প্রস্তাব করেছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। দলের এই প্রবীণ নেতা মনে করেছিলেন, লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দল পরিচালনা করায় কিছু অসুবিধা হচ্ছে। এটা কাটাতে দেশে একজন দায়িত্বশীল নেতা (লোকাল কমান্ডার) দরকার। কিন্তু তার এ ‘লোকাল কমান্ডার’ ঠিক করার প্রস্তাব ভালো মতো নেননি তারেক রমান। মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে শায়েস্তা করতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দ্রুত তুলে আনা হয় অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা আবদুল আউয়ালকে। তাকে করা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত বছর মারা যান আবদুল আউয়াল।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে না জানিয়ে গত বছর ৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। ৪৪ বছর ধরে দল করা মঞ্জুকে বাদ দিয়ে তারেক রহমানের আস্থাভাজন শফিকুল আলমকে করা হয় আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক করা হয় আমির এজাজ খানকে। খুলনা অঞ্চলে কমিটি গঠনে অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে কথা বলায় খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।

এ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় পটুয়াখালীতে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নোয়াখালীতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, ভোলায় কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলমসহ অনেক নেতা চাপে আছেন। কোথাও ছাত্রদল, কোথাও যুবদলের নেতাদের দিয়ে এলাকায় বিকল্প নেতৃত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ তারেক রহমানের একক কর্তৃত্ব নিয়ে কথা বললেই বিপদে পড়েন দলের ত্যাগী ও সাধারণ নেতাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

ফখরুলের সঙ্গে রিজভীর টেক্কাবাজি
বিএনপির মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংগঠনিক প্রধান হলেও, বরাবরই তার ওপর ‘টেক্কাবাজী’ করে চলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আস্তানা গেড়ে বসা রুহুল কবির রিজভী সব সময় এক পা’ আগে বাড়িয়ে রাখেন। দলের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মহাসচিব কথা বলার আগেই তিনি কথা বলে ফেলেন। সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে কথা বলার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন, ঠিক তার কয়েক ঘণ্টা আগে একই বিষয়ে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে কথা বলে ফেলেন রিজভী।

সর্বশেষ এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণার সময়ও এমন ঘটনার জন্ম দেন রিজভী। গত ২৪ আগস্ট যৌথসভা শেষে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- এমনটিই সিদ্ধান্ত ছিল দলের। কিন্তু এর আগের দিন ২৩ আগস্ট নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী। পরের দিন যৌথসভা শেষে একই কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্য থেমে নেই
বিএনপিতে পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্য’র অভিযোগ বহু পুরোনো। এটা মেনে নিয়েই এ দলে রাজনীতি করতে হয়- এমনটিই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। দলের যে কোনো পর্যায়ে পদ পেতে হলে টাকা খরচ করতে হয়। পিছিয়ে নেই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও। ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দলে পদ পেতে হলেও টাকা দিতে হয়। পদ বাণিজ্যের পাশাপাশি বিএনপিতে মনোনয়ন বাণিজ্যও হয় দেদারসে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনেও লন্ডন-মালয়েশিয়ায়-ঢাকায় কাড়ি কাড়ি টাকা উড়িয়ে এমপি প্রার্থী হয়েছেন কেউ কেউ। ফলে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন দলের অসংখ্য পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা।

দলীয় সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের বলি হন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন। তাকে চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন না দিয়ে মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে সেই সময় ঢাকায় এসে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সদলবলে বিএনপি ছাড়ার হুমকি দেন কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আবেদিন স্বপন।

স্থায়ীন বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়- সে সময় ৩৬ মামলা নিয়ে কারাগারে সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী, দুইবারের সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে মনোনয় না দিয়ে টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আদম ব্যাপারী মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেনকে। কারামুক্ত হয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলায় আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে পদচ্যুৎ করা হয়।

দল চলে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিতে
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩ বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার বিধান থাকলেও দলটির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। সাড়ে ৩ বছর আগে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি গঠনের জন্য জাতীয় কাউন্সিল করতে পারে নি বিএনপি। কাউন্সিল কে ডাকবেন? কে হবেন জাতীয় কাউন্সিল আহ্বায়ক কমিটির প্রধান- এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই সাড়ে ৩ বছর কেটে গেছে বিএনপির।

শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, জেলা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও ঢের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বিএনপি। ২০১৫ সালে লন্ডন যাওয়ার প্রাক্কালে তৃণমূল পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়ে যান খালেদা জিয়া। তারপর কেটে গেছে সাত বছর। কিন্তু তৃণমূল পুনর্গঠন শেষ করতে পারে নি বিএনপি। এই মুহূর্তে দলটির ৮২ টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র ২৮টি সাংগঠনিক জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। বাকি ৫৪টি সাংগঠনিক জেলা চলছে আহ্বায়ক কমিটি বা আংশিক কমিটি দিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারবিরোধী জোরাল আন্দোলন গড়ে তোলা নিয়ে খোদ বিএনপিতে দেখা দিয়েছে সন্দেহ-সংশয়।

সরকারের চাপ
রাজপথের প্রধান বিরোধীদল হিসেবে বিএনপির ওপর রয়েছে সরকারের চাপ। দলটির শীর্ষ নেতাদের দাবি- ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় লক্ষাধিক মামলা দিয়েছে সরকার। এসব রাজনৈতিক মামলা সামলাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে বিএনপিকে। ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে হয়েছে। সেখান থেকে জামিন নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে গেছেন জিয়াউর রহমানের কবরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ফুল দিতে। এ ছাড়া কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে প্রতি দিনই দেশের কোনো না কোনো জায়গায় হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা- এমনটিই অভিযোগ দলটির শীর্ষ নেতাদের।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী দিনগুলোতে দুর্বর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ৪৪তম পতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছে বিএনপি। নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য ঠিক করতে না পারলেও আপাতত খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ে লক্ষ্যে কাজ করছে দলটি। এ লক্ষ্য পূরোণে সমমনা রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছে তারা। তবে নির্বাচন সামনে রেখে আর কোনো জোট গঠন করতে চায় না দলটি। বরং যুগপৎ আন্দোলনকে প্রাধান্য দিচ্ছে তারা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আপনার কিছু কিছু ফাইন্ডিংস ঠিক হলেও ‘নেতৃত্ব সংকট’, ‘তারেক রহমানের একক কর্তৃত্ব’, ‘পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্য’ নিয়ে যেগুলো বলেছেন, সেগুলো ঠিক নয়। এগুলো বিএনপির মধ্যে অন্তর্ন্দ্বদ্ব সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীনদের পরিকল্পিত প্রচারণা।’

‘বিএনপি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকেই আগাচ্ছে। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল পরিচালিত হচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্ত করাই এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের মূল লক্ষ্য’, বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন