৪ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একক মাস হিসেবে অক্টোবরে দেশের রফতানি আয় কমলেও অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রফতানি এখনও ৭ শতাংশ বেশি। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

বুধবার (২ নভেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, প্রবাসী আয়ের মতোই অক্টোবরে দেশের রফতানি আয়ও কমেছে। গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে চলতি বছরের একই সময়ে রফতানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। মাসটিতে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

ইপিবির তথ্য মতে, অক্টোবর মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ কোটি ডলার। মাসটিতে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম। গত বছর একই সময়ে বাংলাদেশের আয় হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ চলতি বছরের অক্টোবর মাসে রফতানি কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি ডলার। প্রথম ৪ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৩ দশমিক ২৫ শতংশ। তবে গত অর্থবছরের (২০২১-২১) একই সময়ের চেয়ে আয় বেড়েছে ৭ শতাংশ। প্রথম চার মাসে গত অর্থবছরের আয় ছিল ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ডলার।

ইপিবির তথ্য থেকে জানা গেছে, একক মাস হিসাবে অক্টোবরেও পোশাক পণ্য রফতানিতে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মাসটিতে ৩৬৭ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। গেল বছরের অক্টোবরে পোশাক রফতানি করেছিল ৩৫৬ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে পোশাক পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের আয় ১ হাজার ৩৯৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ হাজার ২৬২ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পোশাক পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘তৈরি পোশাক রফতনি কমে যাওয়ার পূর্বাভাস থাকার পরও রফতানি আয় বাড়ার বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। যেহেতু বিশ্বব্যাপী খুচরা বাজারগুলো সংগ্রামরত এবং ক্রেতারা নতুন কার্যাদেশ প্রদান এবং ইনভেনটরি পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্ক পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তাই পোশাক খাতের একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আগামী মাসগুলোতে কার্যাদেশ প্রাপ্তি এবং প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে আমি আশাবাদী নই।’

তিনি বলেন, ‘একক মাসে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক পণ্য রফতানি খুবই আশাব্যঞ্জক। আমাদের শিল্পের আরও পণ্য সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে এবং আমরা পণ্য এবং বাজার বৈচিত্র্যকরণসহ নতুন সুযোগগুলো খুঁজছি।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম