রসিক নির্বাচন: মেয়র পদে ৭ জনসহ ২১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ৭ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে সোমবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত ১৪ দিনে মেয়র পদে ৭, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৭ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৩ জনসহ মোট ২১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ডেইরি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশনের রংপুর জেলা ও বিভাগীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী লতিফুর রহমান মিলন। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর (পুরুষ) পদে ২৮ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর (নারী) পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এর আগে বর্তমান রসিক মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল, স্বতন্ত্র হিসেবে জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ, জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগরের সাবেক আমির অধ্যাপক মাহাবুবার রহমান বেলাল, ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বনি ও খোরশেদ আলম মনোনয়নপত্র কিনেছেন। সব মিলিয়ে ১৪ দিনে ২৭১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৮ জুন পৌরসভা থেকে ১৮টি ওয়ার্ড বর্ধিত করে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন হয়। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

বর্তমানে এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার রয়েছে চার লাখের বেশি। তৃতীয়বারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর। এদিন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে পরের দিন ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা সতেরো দিন প্রচার-প্রচারণার সুযোগ পাবেন।

সারাবাংলা/ইআ