বিজ্ঞাপন

সাকরাইনে ফানুস ওড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ

January 14, 2023 | 2:02 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি)। প্রতি বছর বর্ণিল আলোকসজ্জা ও নানা আয়োজনে পালিত হয় সাকরাইন উৎসব। তবে এ বছর সাকরাইন উৎসবে কোনোভাবেই যেন পুরান ঢাকায় ফানুস না ওড়ে সেই জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

ডিএমপি থেকে বলা হয়েছে, পুরান ঢাকা রাজধানীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অগ্নি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। বিভিন্ন সময় পুরান ঢাকায় লাগা ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সারা দেশ। সাকরাইনকে কেন্দ্র করে ফানুস ওড়ালে বা আতশবাজি ফোটালে পুরান ঢাকায় অগ্নি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ফানুস না ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, যদিও ডিএমপির নির্দেশনা অমান্য করে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ফানুস ওড়াবেন বা আতশবাজি ফোটানোর চেষ্টা করবেন। তারা যেন চেষ্টায় সফল হতে না পারে সেই লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।

প্রথমত ফানুস ওড়ানো বন্ধ করার লক্ষ্যে পুরান ঢাকা ও আশপাশে এলাকায় গত কয়েক দিন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ডিএমপির লালবাগ বিভাগ। এই অভিযানে ফানুস বিক্রি বন্ধ করতে যেমন স্থানীয়দের সচেতন করা হয়েছে, তেমনি জব্দ করা হয়েছে ফানুস ও আতশবাজি।

বিজ্ঞাপন

পুরান ঢাকার প্রতিটি মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে যেন সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস ওড়ানো না হয়, সেইসঙ্গে আতশবাজি না ফোটানোর অনুরোধও করা হয়েছে।

এ ছাড়া, পুরান ঢাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে। তারপরেও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন বলেন, ‘সাকরাইন পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকায় বর্ণিল উৎসবের আয়োজন হবে এটি স্বাভাবিক। তবে সাকরাইনকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় যেন কোনোভাবে ফানুস উড়ানো অথবা আতশবাজি ফুটানো না হয় সেই বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে পুরান ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অনেক ফানুস ও আতশবাজি জব্দ করেছি। মসজিদগুলো থেকে মাইকিংও করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকেও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা দাবি করা হলেও সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে পুরান ঢাকায় আতশবাজি ও ফানুস বিক্রি বন্ধ হয়নি। গত ৩-৪ দিন ধরে বিভিন্নভাবে এসব বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বেশি দামে পুরান ঢাকায় ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি হয়েছে। পুলিশের নিষেধাঙ্গা সত্ত্বেও ১৪ জানুয়ারি সকাল থেকে আতশবাজি ফোটানো চলছেই। আর বিকেলের দিকে ফানুস ওড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে এলাকার ছেলেরা।

এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষেও ফানুস ও আতশবাজিরা বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা ছিল ডিএমপির। কিন্তু ডিএমপির এসব কঠোর নির্দেশনা অমান্য করে রাজধানীতে হাজার হাজার ফানুস ওড়েছিল ও আতশবাজি ফোটানো হয়েছিল। ফানুস ওড়ানোর ঘটনায় গত থার্টি ফাস্ট নাইটে রাজধানীর চার জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া ওই রাতে ওড়ানো ফানুস গিয়ে পড়ে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তার ও রেললাইনে। ফলে ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। থার্টি ফাস্ট নাইটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও কার্যত পুলিশের কোনো ব্যবস্থাই দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/ইআ

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন