বিজ্ঞাপন

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বানতে হবে ভালো সফটওয়্যার: স্পিকার

February 23, 2023 | 3:52 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভালো মানের সফটওয়্যার তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বর্তমানে দেশের সফটওয়্যার খাতে রফতানি আয় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ও তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের চারপাশ সফটওয়্যার দ্বারা পরিবেষ্টিত। নিত্য প্রয়োজনীয় সব কাজেই আমাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সফটওয়্যারের বিকল্প নেই। জাতীয় সংসদে যত আলোচনা হয় তা সব সফটওয়্যারে অন্তভুক্ত করা হয়েছে। এটি বেসিসের সদস্যরাই তৈরি করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের ভালো মানের সফটওয়্যারও তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সফটওয়্যার খাতে রফতানি ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এই লক্ষ্য মাত্রা বাড়ানোর জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় জোর দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি তৈরি করা জন্য কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। তাহলে ২০৪১ সালের আগের বাংলাদেশ স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করি।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রযুক্তির এগিয়ে চলা শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। তারেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রযুক্তি খাতকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। সরকার প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। করোনার সময় আমরা অনুধাবন করেছি ইন্টারনেট কতটা কার্যকরী। অনলাইনে ক্লাস করা থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সবকিছু ইন্টারনেট নির্ভর ছিল সারাদেশের মানুষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সফটওয়্যারের কপিরাইটের ক্ষেত্রে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। শিক্ষাকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে না পারলে দেশেকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।’

জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা জন্য সরকার ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাদের সুফল দেশের জনগণ আজ পাচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তি উন্নয়নে ৩০৬টি নীতিমালা হাতে নিয়েছিল সরকার। ৮ হাজার ৩৬৩টি ইউনিয়ানকে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। বর্তমান ১৩ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট দাম কমিয়ে সবার কাছে ইন্টাননেট পৌঁছে দেওয়ার সহজতর করেছে।’

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘এবারের এক্সপোর মাধ্যমে সফটওয়্যার খাতকে একটি ঝাঁকুনি দিতে চাই। একইসঙ্গে সারাবিশ্বের মানুষের কাছে সফটওয়্যার খাতে আমাদের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভবনা তুলে ধরতেও চাই। সরকারে সহযোগিতা না করলে সফটওয়ার খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বেসিস সদস্যরা যেমন কাজ করেছে, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্যও কাজ করবে ‘

তিনি আরও বলেন, ‘চার দিনের এই এক্সপোতে নতুন প্রজন্মকে সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো জন্য বিভিন্ন আয়োজন রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে দক্ষ জনবলের অনেক সংকট রয়েছে। ৩০০ জন মানুষকে সাক্ষাৎকার নিয়ে ৩ জন দক্ষ লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এ জন্য সরকার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং একাডেমিয়া একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলেই দক্ষ জনবলের কোন অভাব হবে না।’

‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’। এই প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা, উদ্ভাবন এবং নীতিনির্ধারনী বিভিন্ন বিষয়ের উপর ১৮টি গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ও নলেজ শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত চার দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। বেসিস সফটএক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। আগ্রহীরা বেসিস সফটএক্সপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (https://softexpo.com.bd/) থেকে বিনামূল্যে নিবন্ধন করে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন