বিজ্ঞাপন

পিলখানা ট্রাজেডি: বিস্ফোরক মামলার বিচার ঝুলে আছে ১৪ বছর

February 25, 2023 | 10:22 am

আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘দাবি-দাওয়া’র নামে পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) কিছু উচ্ছৃঙ্খল সৈনিক বিদ্রোহ শুরু করে। এসময় তাদের গুলিতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার বিচার শেষ হলেও ১৪ বছর ধরে ঝুলে আছে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ বছরেই মামলার বিচার শেষ হবে। আসামি পক্ষও দ্রুত মামলাটির নিষ্পত্তি চাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে রাজধানীর বকশিবাজারের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এই মামলার কার্যক্রম চলছে। আগামীকাল রোববার মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলাটি নিম্ন আদালতের রায় এবং ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সও আপিল নিষ্পত্তি হয়। তবে এই ঘটনার বিস্ফোরক আইনে করা মামলা এখনো বিচারাধীন। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ১৩৪৫ জনের মধ্যে ২৫৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘এই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার বিচার নিম্ন আদালতের পর হাইকোর্টে পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। নিয়মিত সাক্ষ্যগ্রহণ হচ্ছিল। মাঝে দুই বছর করোনার কারণে সাক্ষ্য গ্রহণ একটু বিলম্বিত হয়। এখন আবার আদালতের কার্যক্রম চলছে। আশা করছি, এ বছরে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে আদালত রায় ঘোষণা করতে পারবেন।’

বিজ্ঞাপন

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক আইনের মামলাটি দ্রুত বিচার চাই, দ্রুত নিষ্পত্তি চাই। মামলায় যেন দ্রুত রায় ঘোষণা করেন আদালত সেটাই আমাদের কাম্য। অনেক আসামির এই মামলায় জামিন হচ্ছে না। আসামিদের পক্ষে কয়েক দফায় নিম্ন ও উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন চাওয়া হলেও তা নামঞ্জুর করেন আদালত।’

‘এর আগে হত্যা মামলাটিতে ২৭৭ জন খালাস পেয়েছে, আশা করি বিস্ফোরণ আইনের মামলাটিতেও তারা খালাস পাবে। এই মামলা থেকে সব আসামিই খালাস পাবেন’, বলেন আসামি পক্ষের এই আইনজীবী।

পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে প্রথমে চকবাজার থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলা দু’টি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।

বিজ্ঞাপন

২০১০ সালের ১২ জুলাই হত্যা মামলায় এবং ২৭ জুলাই বিস্ফোরক আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০১১ সালের ১০ আগস্ট হত্যা মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরু হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার স্থগিত ছিল।

হত্যা মামলার রায়ে ঢাকার নিম্ন আদালত ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে আপিল চলার সময় কারাগারে থাকা দু’জন মারা যান। খালাস পান ১২ আসামি।

সারাবাংলা/এআই/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন