সায়েন্সল্যাবে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. ফাহমিদা নার্গিস। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।

এর আগে, মরদেহ তিনটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান আলী। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, নিহত তিনজনেরই মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত যখম রয়েছে। তবে তাদের শরীরে কোথাও দগ্ধ হয়নি। ভবনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংসাবশেষ তাদের শরীরের উপর পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।

রমজান আলী জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- নরসিংদি জেলার বেলাবো উপজেলার বটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে সাদিকুর রহমান তুষার (৩১)। রাজবাড়ি সদর উপজেলার ধুলদি গ্রামের মৃত গোমেদ শেখের ছেলে সফিকুজ্জামান (৪৪) ও গাজিপুরের টঙ্গি কোনাপাড়া এলাকার মফিজউদ্দিন খলিফার ছেলে আব্দুল মান্নান (৬৩)।

সাদিকুরের ভাই সফিকুর রহমান জানান, সবুজবাগের বাসাবোর কদমতলায় থাকতেন সাদিকুর। তিনি শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় নিউ জেনারেশন কোম্পানির এইচ.আর এডমিনে কর্মরত ছিলেন।

মান্নানের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, তারা লালবাগ পোস্তা ইয়াছিন ব্যাপারীর গলিতে থাকেন। তার স্বামী নিউ জেনারেশন কোম্পানির পিয়নের কাজ করতেন।

সফিকুজ্জামানের বড় ভাই মহিউদ্দিন জানান, তার ভাই সাভার গেন্ডা এলাকায় থাকতেন। তিনি নিউ জেনারেশন কোম্পানির কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতেন।

রোববার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হঠাৎ বিকট শব্দে সায়েন্সল্যাবের শিরিন ম্যানশনে বিস্ফোরণ হয়। এরপর চারদিক সেয়ে যায় ধোঁয়ায়। আশেপাশের সব ভবনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়।

সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ