বিজ্ঞাপন

পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

June 4, 2023 | 8:01 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিশ্বের চলমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেও যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি সাশ্রয়ী ও নিজেদের খাদ্য নিজেদের উৎপাদন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৪ জুন) প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। আফছারুল আমিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ২ জুন আফছারুল আমীন ঢাকার একটি হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তবু বলবো যে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশনের কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাব, যার জন্য এখন শুধু বাংলাদেশ নয় উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা বিভিন্ন দেশেই কিন্তু জ্বালানির অভাব হচ্ছে। লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে সমস্ত পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, আমাদের ওয়াদা ছিল মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছাব। কিন্তু এই জ্বালানি তেল বা কয়লা বা গ্যাসের অভাব সারা বিশ্বব্যাপী। এখন তো অনেকটা কেনা মুশকিল। ক্রয় করাও একটি অসম্ভব ব্যাপার হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এরইমধ্যে কাতার, ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সই হয়ে গেছে। জল বিদ্যুৎ আমদানিরও ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘কয়লা কেনার জন্য এরইমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমরা আবার চালু করতে পারি। তবে সবাইকে অনুরোধ করব, আমরা যেন বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে পারি। তাছাড়া আমাদের খাদ্য উৎপাদনও নিজেদের বাড়াতে হবে। কারণ বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কত দিন চলবে কেউ বলতে পারে না। হয়ত বিশ্ব পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেও যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের রক্ষার জন্য, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে যা যা করার আমরা করে যাচ্ছি।’

আফছারুল আমিনের স্মৃতি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফছারুল আমিন সাহেব ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র লীগ করে এসেছেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামেই অংশগ্রহণ করেছেন। নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, দলের প্রতি তার নিষ্ঠা সত্যি অতুলনীয়। শুধু সংসদ সদস্য না, মন্ত্রী হিসেবেও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সেখানে তিনি অত্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছেন। তাকে প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব দিলাম, বাস্তবে আজকে যে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা এতো সাফল্য অর্জন করেছে তার ভিত্তিটা কিন্তু তিনি করে দিয়ে গেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আফছারুল আমিন সাহেব একজন নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী লীগের। তার মৃত্যু আমাদের দেশের জন্য, আমাদের দলের জন্য একটর বিরাট ক্ষতি। অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। একে একে আমরা তাদেরকে হারাচ্ছি সেটা সত্যি খুব দুঃখজনক, কষ্টের। এবারের পার্লামেন্টে আমরা এত বেশি আপনজনকে হারিয়েছি, এত বেশি সংসদ সদস্য হারিয়েছি এটি আগে কখনও হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

শোক প্রস্তাবের আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মোতাহার হোসেন, সাইফুজ্জামান, মুহিবুল হাসান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের ওয়াসিকা আয়শা খান, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু, মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ। আলোচনার পর শোক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে গৃহীত হয়।

জাতীয় সংসদ অধিবেশন আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন