বিজ্ঞাপন

কথায় কাজে মিল রেখে রূপগঞ্জকে গ্রাম থেকে শহর করেছে গাজী

September 4, 2023 | 10:10 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

রূপগঞ্জ থেকে ফিরে: মোঘল আমল থেকে বিশ্বখ্যাত ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ২০০২ সালে সি ক্যাটাগরির পৌরসভা হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও তারাবো ছিল অবহেলিত। পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরু হয় এই পৌরসভার উন্নয়নকাজ। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে এই পৌরসভাটি এ শ্রেণিতে উন্নীত হয়।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসী বলছেন, একসময় অবহেলিত থাকলেও এই পৌরসভার চিত্র ধীরে ধীরে বদলে গেছে। ঢাকা শহর লাগোয়া একটি স্যাটেলাইট শহর হিসেবে গড়ে উঠছে। শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়ন, বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা, উন্নত মানের ড্রেনেজ সিস্টেমের পাশাপাশি প্রায় শতভাগ পাকা সড়ক নির্মাণে বদলে গেছে পৌরসভার নাগরিকদের জীবনধারা। স্থানীয়রা জানান, এখন আর তাদের বাঁশের সাঁকো বা নৌকা করে যাতায়াত করতে হয় না। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক জাগানো নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি প্রভার না ফেললে শতভাগ সড়কই পাকা হয়ে যেত বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।

পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আটানী মসজিদের সামনে স্থানীয় মো. আমান উল্লাহ মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘এমপি হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক কিছু বলে। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় আসলে সবই মুখের বুলি। এলাকার কোনো উন্নয়ন হয় না। ২০০৮ সালের আগে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতারা এই এলাকা থেকে এমপি ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। এক আমলে এই আসনের এমপি ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু রূপগঞ্জবাসীর কোনো উপকার হয়নি। পরিবর্তন যা এসেছে, সব গোলাম দস্তগীর গাজীর হাত ধরে। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার আগে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সবাই ভেবেছিল প্রতিশ্রুতি তো সবাই দেয়, দেখা যাক কী হয়। কিন্তু গাজী করে দেখিয়েছেন।

আমান উল্লাহ বলেন, এলাকার আগের অবস্থার সঙ্গে বর্তমানের বলতে গেলে কিছুই মিল নেই। অনেকে বলতে পারে— সরকারই তো সব উন্নয়ন করেছে, এমপি হয়ে গাজী কী করেছে? উত্তরটা হচ্ছে— গাজী শুধু সরকারি প্রকল্পে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। এলাকাবাসীর নানা সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে শিক্ষা-দীক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে তিনি এই তারাবোর চেহারা এতটাই পাল্টে দিয়েছেন যে ঢাকা থেকে কেউ এসে এখন আর সহজে পৌরসভা বলে চিনবে না। বরং মনে করবে ঢাকারই কোনো একটা এলাকা এখন এই তারাবো।

বিজ্ঞাপন

পাশেই থাকা সোলায়মান মিয়া বলেন, ‘রূপগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থা ও অবকাঠামো থেকে শুরু করে সার্বিক পরিবর্তন অল্প সময়ে কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব না।’ সামনের রাস্তাটি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে রাস্তা দেখছেন, এখানে ছিল বাঁশের সাঁকো। বৃষ্টির দিনে এই সাঁকো পাড়ি দিয়েই মূল রাস্তা থেকে বাড়ি আসা-যাওয়া করতে হতো আমাদের। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে পাকা সড়ক নির্মাণের। সবাই বলেছে সড়ক করে দেবে। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। শুধু গোলাম দস্তগীর গাজীই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।’

সোলায়মান মিয়া আরও বলেন, ‘গাজীর কারণেই এখন মিয়া মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার একাংশের কাজ শেষ হয়ে গেছে। করোনা না আসলে আরও আগেই এই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যেত। এই রাস্তা হওয়ার পর এখন আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছি।’

বিজ্ঞাপন

এক নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরবাড়ি এলাকাতেও স্থানীয়রা রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কথাই বললেন ঘুরেফিরে। তাদের ভাষ্য, আগে এই এলাকা বেশিরভাগ সময় পানিবন্দি থাকলেও এখন পাকা সড়ক আর আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় না। আগে এদিকে তেমন বাড়িঘর না থাকলেও নানা উন্নয়ন কাজের পরে ধীরে ধীরে জনবসতি বাড়ছে।

দুই পাশে ফুলের গাছ লাগানো তেঁতুলতলা রাস্তা পার হওয়ার সময় দেখা গেল পাকা রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানালেন, গোলাম দস্তগীর গাজী সংসদ সদস্য হওয়ার পর রহমান মেম্বারের বাড়ি থেকে তেঁতুলতলা মেহের আলীর বাড়ি পর্যন্ত অংশে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে আরসিসি ড্রেনসহ মোট ১৮ ফুট রাস্তা নির্মিত হয়েছে। আশপাশে বেশ কিছু বাড়ি নির্মাণাধীনও দেখা গেল।

আরেকটু এগিয়ে তেঁতুলতলা চত্বরে কথা হয় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, আগে কেবল একটি ভাঙা ব্রিজ ছিল, যেটি পার করে অন্য এলাকায় যেতে হতো। এখন সেখানে একটি চত্বর নির্মাণ করা হয়েছে, তার চারদিকজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন নতুন রাস্তা। এর মধ্যে ড্রেনেজ সুবিধাসহ তেঁতুলতলা থেকে কোটি টাকা ব্যয়ে জিসি রোড হাশেমের দোকান পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। অর্ধ কোটিরও বেশি খরচ করে তেঁতুল তলা থেকে কর্নগোপ পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তেঁতুলতলা থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা খরচ করে কর্নগোপ সড়কের ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে নতুন সড়ক। এসব সড়কের সবগুলোতেই রয়েছে আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা। ফলে পানি জমে না থেকে সরাসরি নতুনভাবে প্রশস্ত করা খালে চলে যাচ্ছে।

(বাঁয়ে) হাজী বাড়ি হাইস্কুল থেকে তেঁতুলতলার আগের অবস্থা। (ডানে) হাজী বাড়ি হাইস্কুল থেকে তেঁতুলতলা হয়ে ১২ ফুট চওড়া পাকা সড়ক চলে গেছে উত্তরের ডিসি ব্রিজ পর্যন্ত। ছবি: সারাবাংলা

কিছু স্থানে মাটির রাস্তার নির্মাণকাজও চলমান দেখা গেল। স্থানীয়রা জানালেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রকল্প শুরু করার কথা থাকলেও এদিকটায় তখন কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে করোনা মহামারির কারণে মাঝে ‍দুই বছরের বেশি সময় সবকিছুই স্থবির হয়ে ছিল। এসব কারণেই এই রাস্তাগুলোর কাজ এখন চলছে। প্রায় দেড় কোটি টাকায় তেঁতুলতলা মেহের আলীর বাড়ি থেকে নামাপাড়া কবরস্থান পর্যন্ত ১৪ ফুট প্রশস্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

তারাবোর ১ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, অলিগলির রাস্তাও এখন পাকা হয়ে গেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে প্রায় এক কোটি টাকা খরচে জিসি রোড জাহিদুল হকের বাড়ি থেকে আলী হায়দারের বাড়ি ভায়া ক্যানাল পর্যন্ত ড্রেনসহ আরসিসি সড়ক নির্মিত হয়েছে। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নামাপাড়া মিনার বাড়ি থেকে দেবৈ মন্দির পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মিত হয়েছে। কোটি টাকা খরচ করে আরসিসি সড়ক তৈরি হয়েছে বোচারবাগ হতে নারসিঙ্গল হয়ে বংশীনগর পর্যন্ত।

এ ছাড়াও প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করে আলরাজ্বী টেক্সটাইল থেকে উপজেলা অভিমুখী সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়েছে। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা খরচ করে উত্তর পাড়া ক্যানাল থেকে ড্রেনসহ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এর বাইরেও দুই দফায় প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি খরচ করে গন্ধর্বপুর হাইস্কুল থেকে গঙ্গানগর ডিসি ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক কার্পেটিং করা হয়েছে। ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নুরুল হক মার্কেট-বোচারবাগ সড়ক কার্পেটিং করা হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রায় সাত কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানান, আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সড়কটি আরসিসি ড্রেন, সড়কবাতি ও ফুটপাতসহ নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আটানী মসজিদ থেকে মিয়া মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ কাজের প্রথম অংশের কাজ শেষ হয়েছে। আরেক অংশের কাজও দ্রুতই শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়াও প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ ফুট প্রশস্ত কর্ণগোপ-হাজ্বীবাড়ি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

তারাবো পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, রূপগঞ্জের সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর আমলে যে পরিমাণ উন্নয়ন কাজ হয়েছে এই তারাবো পৌরসভায়, তা আর আগে কেউ কখনো করতে পারেনি। নিন্দুকেরা বলে থাকে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে অন্যান্য স্থানের মতো এখানেও কাজ হয়েছে। কিন্তু বিষয়টা মোটেও তেমন না। কারণ যেভাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আমাদের পৌরসভার মেয়র এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হন, তা খুব কমই দেখা যায়। আর তাই রূপগঞ্জের অন্যান্য এলাকার মতো এই এলাকার উন্নয়নকে সবাই ভালো চোখে দেখে না।

কাউন্সিলর বলেন, এই এলাকার অধিকাংশ রাস্তা আগে ছিল কাঁচা। এখন তেমন আর নাই। শতভাগ বাড়ি এখন বিদ্যুতের আওতায়। সড়ক বাতি আছে প্রায় শতভাগ এলাকায়। এ ছাড়া পুরো এলাকা শতভাগ বিশুদ্ধ পানির আওতায়। স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে। আর এসব হয়েছে শুধুমাত্র সংসদ সদস্য হিসেবে গোলাম দস্তগীর গাজীর এলাকার মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে।

তেঁতুলতলা চত্বরের আগের অবস্থা (বাঁয়ে) এবং এখনকার অবস্থা (ডানে)। ছবি: সারাবাংলা

কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের উন্নয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশের অন্যান্য এলাকাতেও কাজ হচ্ছে। রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজী শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পেই কিন্তু নির্ভরশীল না থেকে নিজে থেকেও কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার কোনো কাজে যদি সমস্যা দেখা দেয় তবে তিনি নিজে থেকে সেটার সমাধান করেন।

অবকাঠামো উন্নয়নের বাইরে অন্যান্য ইস্যুতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর ভূমিকা তুলে ধরে মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকার সামাজিক নিরাপত্তা ও মানুষের অন্যান্য মৌলিক চাহিদার দিকগুলো বিবেচনায় নিয়েও এখানে কাজ করা হয়েছে। রেড কার্ডের মাধ্যমে শত শত পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা শতভাগ কার্যকর করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তায় ১ নম্বর ওয়ার্ডকে বাইরের লোকজনের হস্তক্ষেপমুক্ত করা হয়েছে।

কাউন্সিলর বলেন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থা কায়েম হয়েছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৯টি ভূমিহীন পরিবার (ওয়ার্ড হিসেবে সর্বোচ্চসংখ্যক) তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে আটটি পরিবার জমিসহ ঘর পেয়ে বসবাস করছে। এখন পর্যন্ত কেবল এই ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৫৬ জন গর্ভবতী নারীকে মাতৃকালীন ভাতা দেয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের বয়স্কদের চিত্তবিনোদনের জন্য সিনিয়র সিটিজেন ক্লাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই এগুলোর কাজ আরও বিস্তৃত পরিসরে শুরু করা হবে।

কাউন্সিলের কথার সূত্র ধরেই পৌরসভা ভবনে সেবা নিতে যাওয়া কয়েকজন বাসিন্দা বললেন, আগে এলাকার মানুষ নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য পানি ঠেলে যেতে হতো। এখন সেদিন আর নেই। পৌরসভা, টিআর ও জেলা পরিষদের বরাদ্দের মাধ্যমে মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ ও মন্দিরের উন্নয়ন করা হয়েছে। সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়াতে মসজিদ-মন্দিরে পানির পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শ্মশান। এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে ছয় কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সেই খালের পাড় দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা।

কাউন্সিলর রফিকুল বলেন, গন্ধর্বপুর হাইস্কুলে চার তলা ভবন, পুরাতন একতলা ভবনকে দোতলায় উন্নীত করা, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি মাঠ ভরাট করা হয়েছে। এ ছাড়া হাছিনা গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে। আশা করছি এ কাজও খুব দ্রুতই শুরু হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল— গ্রাম হবে শহর। কাউন্সিলর রফিকুল মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ঠিক সেটিই করে দেখিয়েছেন তারাবোতে। কাউন্সিলর বলেন, সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক ও হাসিনা গাজীর নেতৃত্বে আমার নির্বাচনি এলাকায় যেভাবে উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তাতে বলা যায় ১ নম্বর ওয়ার্ড এখন আর গ্রাম নেই। বরং এই ওয়ার্ড শহুরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধায় কোনো অংশে কম না। আশা করি সামনের দিনেও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে উন্নয়নের এই ধারা আমরা ধরে রাখতে পারব।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন