‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করল কি করল না, যায় আসে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল কি করল না, এতে কিছুই যায় আসে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যদি বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাব। না এলেও কোনো অসুবিধা নেই। নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল কি করল না, এতে কিছুই আসে যায় না। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারসহ যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।’

‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক, আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, আমাদের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’

বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে এত মাতামাতি কেন, এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না, কিংবা গেলেও সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয়, সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যান? যান না। একমাত্র আমাদের দেশেই নির্বাচন কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না— এগুলো নিয়ে মাতামাতি হয়।’

বিএনপিকে হরতাল-অবরোধের নামে নৃশংস কোনো ঘটনা ঘটাতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে ১০০ অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতেও দেবে না। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।’

এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস