বিজ্ঞাপন

ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটি ব্যবহারের তথ্য খুঁজবে বিবিএস

September 29, 2023 | 8:59 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটি ব্যবহারের তথ্য খুঁজবে বিবিএস। এজন্য ‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। অনুমোদন পেলে ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত চলমান এসডিজির অগ্রগতি পরিমাপের জন্য প্রত্যেক বছরে আইসিটি ব্যবহারের তথ্যের প্রয়োজন। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সংস্থাকে (আইটিইউ) প্রতিবছর এ খাতের হালনাগাদ তথ্য দিতে হয়।

প্রথম ধাপে প্রকল্পটি অল্প টাকায় প্রস্তাব করা হয়েছে। আমাদের কাছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য আছে। এখন প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যমে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যক্তি ও পরবিারভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের তথ্য সরবরাহ করা হবে। এসব কারণে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রকল্পের কার্যক্রমের আওতায় আইসিটি অ্যাকসেস এবং এর ব্যবহার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা হবে। এ ছাড়া আইটিইউকে আইসিটি সম্পর্কিত পরিসংখ্যান সরবরাহ করা হবে। এসডিজিতে আইসিটি সূচক সরবরাহ করার সুবিধাও এই প্রকল্প থেকে পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় জেলাভিত্তিক ব্যক্তি ও খানাগুলোর (পরিবার) আইসিটি অ্যাকসেস তথা আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তৃত জরিপ চালানো হবে। জরিপের আওতা হবে সারাদেশ। বিবিএসের পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারি ও গৃহগণনার নমুনা ফ্রেম ব্যবহার করে সব জেলার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে নমুনার ভিত্তিতে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে খানা নির্বাচন করা হবে। মূলত খানা ও ব্যক্তি মডিউলের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সব কাজ পরিচালিত হবে। দেশের সব নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে এবং এর মাধ্যমে অর্থনীতি পরিচালিত হবে। সরকারের এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় সূচক দিতেই প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে দুইটি জরিপের মাধ্যমে আইসিটি সূচকগুলো তৈরি করা হয়েছে।

এসব জরিপের ফল দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে আইসিটির অভিগম্যতা ও ব্যবহার নিয়ে ইন্টারভেনশনের সুযোগ থাকলেও জেলা পর্যায়ে সম্ভব নয়। কিন্তু স্থানীয়ভাবে দেশের সব মানুষকে আইসিটির আওতায় আনতে জেলা পর্যায়ে ইন্টারভেনশনের জন্যই তথ্য বেশি প্রয়োজন। সে তথ্য পেলে আইসিটি ব্যবহারে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোকে নিয়ে বিশেষভাবে পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ প্রকল্পটি আইসিটি বিভাগের অনুরোধ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তের জন্য বিবিএস সম্পাদন করেছিল। জাতিসংঘের আইটিইউকে ওই জরিপ থেকেই তথ্য দিতে হয়েছে। কিন্তু ২০৩০ সাল পর্যন্ত এসডিজি ট্র্যাকারে সূচক দেওয়াসহ জেলা গেজেটিয়ার প্রণয়নের জন্য জেলা পর্যায়ের তথ্য প্রয়োজন, আগের জরিপটি বিভাগীয় পর্যায়ে হওয়ার কারণে যেটি সরবরা করা সম্ভব হয়নি। জরিপটির মাধ্যমে তিনটি সূচক আইসিটি অ্যাকসেস ৪ ও ৫ এবং আইসিটি ব্যবহার সূচক ৬ সরবরাহ করা যাবে। আইসিটি দ্বারা বিকাশিত মোট ১৯টি মূল আইসিটি সূচক এই প্রকল্প থেকে প্রণয়ন করা যেতে পারে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন