নোয়াখালীতে পূজামণ্ডপে হামলা, ২৩ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুরের একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের আক্রমণে তিন নারী আহত হয়েছেন। পরে বিক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চৌমুহনী পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর-গণিপুর সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আধা ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ দেখায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাসহ ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) বেগমগঞ্জ থানার (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় শেখ সেলিমকে (৫০) প্রধান আসামি করে এজাহারনামীয় আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করে পূজামণ্ডপের সেবক আলো রবি দাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয় ২০ জনকে।

এর আগে, গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর পূজামণ্ডপে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ৩০-৩৫ ব্যক্তি এই হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন করিমপুর কালী মন্দিরের সভাপতি গণেশ রবি দাস। ওই হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন- একই এলাকার আলো রানী, লক্ষ্মী রানী দাস ও লক্ষ্মী রানী।

গণেশ রবি দাস জানান, চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকায় ২৬ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠিত জয় শিবা রবি দাস সংঘ কালী মন্দির। এ মন্দিরের পূজামণ্ডপে কালীপূজা, স্বরসতী পূজা ও বিশ্বকর্মা পূজা বেশি হয়। পূজামণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় দাস সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস।

তিনি আরও বলেন, ‘এ মণ্ডপে পূজা হলেই স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম এটা নিয়ে মতবাদ তৈরি করে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার সময় পূজামণ্ডপে পুরুষ কেউ ছিল না। ওই সুযোগে সেলিমের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন পূজামণ্ডপে হামলা চালায়। হামলায় তিনজন নারী আহত হয়েছেন। এছাড়া একটি বিশ্বকর্মা প্রতিমা ভেঙে যায়, একটি নির্মাণাধীন প্যান্ডেল ভাঙচুর করে একটি প্রণামী বক্স ও প্রতিমার সরঞ্জামাদি লুট করে নিয়ে যায়। বেশ কিছু দিন আগে থেকে স্থানীয় শেখ সেলিম কালী মন্দিরের এ জায়গা নিজের দাবি করে বিরোধ চালিয়ে আসছে। জায়গার বিরোধের জেরে তিনি এ হামলা চালান।’

ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘একটা সরকারি খাস জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। তারা প্যান্ডেল বানাতে গেছে প্যান্ডেলের একটি খুঁটি নড়াচড়া করেছে প্রতিপক্ষ। পূজার প্যান্ডেল তৈরি করার সময় দুইজন লোক গিয়ে মালিকানা দাবি করেন। এ ঘটনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ৩ জন এবং অজ্ঞাত আসামি ২০ জন।’

সারাবাংলা/এনএস