বিজ্ঞাপন

খুলছে পিসিটি, শুরু হচ্ছে বে-টার্মিনালের নির্মাণ প্রক্রিয়া

November 13, 2023 | 8:49 pm

রমেন দাশ গুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) নির্মাণের পর এবার সাগরতীরে বহুল আলোচিত বে-টার্মিনাল নির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) পিসিটি উদ্বোধনের পাশাপাশি বে-টার্মিনালের চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন দিয়ে এর নির্মাণ প্রক্রিয়ার সূচনা করবেন। বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসছে বছরের মাঝামাঝিতে বে-টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রাঙ্গণে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল উদ্বোধনের প্রস্তুতি দেখতে যান। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রথমে পিসিটি উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি বে-টার্মিনালের চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করবেন বলে জানিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিক টার্মিনাল পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়ালি। এ জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। বন্দরের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আমরা বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক এবং অংশীজন যারা আছেন, আমরা সবাই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছি যে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল এই টার্মিনালটা উদ্বোধন করবেন।’

ডিসেম্বরেই সৌদি প্রতিষ্ঠানের হাতে পিসিটির ভার

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মূল অংশ থেকে ভাটির দিকে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ড্রাইডক ও বোটক্লাবের মাঝে ২৬ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল। বহির্নোঙ্গরে আসা মাদার ভ্যাসেলকে চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে পৌঁছাতে ১২ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে পৌঁছাতে অতিক্রম করতে হবে ৬ নটিক্যাল মাইল।

বিজ্ঞাপন

৫৮৪ মিটার লম্বা এ টার্মিনালে তিনটি জেটি আছে। তিনটিতেই একযোগে জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। দুটিতে আমদানি-রফতানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার জাহাজ এবং ২০৪ মিটার লম্বা অন্য ডলফিন জেটিতে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের নিচের অংশ) জাহাজ প্রবেশ করেছে। কিন্তু পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ প্রবেশের সুযোগ পাবে।

পতেঙ্গা টার্মিনালটি পরিচালনা করবে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে। ছবি: সারাবাংলা

পিসিটি প্রসঙ্গে বন্দর চেয়ারম্যান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি টার্মিনাল। আধুনিক টার্মিনাল হিসেবে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি স্বতন্ত্র টার্মিনাল বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট টার্মিনাল। এটি এ কারণে বলছি যে এই টার্মিনাল পরিচালনায় অন্য কোনো টার্মিনাল বা বন্দরের সহযোগিতা লাগবে না। একটি টার্মিনাল পরিচালনার জন্য যা যা দরকার, তার সবই এখানে আছে।’

‘চট্টগ্রাম বন্দরে এখন পর্যন্ত যতগুলো টার্মিনাল হয়েছে, তার মধ্যে পিসিটি সবচেয়ে স্মার্ট ও মডার্ন টার্মিনাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই টার্মিনাল আমরা এরই মধ্যে ট্রায়াল করেছি, বেশকিছু জাহাজ এসেছে। আমরা সেগুলো হ্যান্ডলিং করেছি,’— বলেন বন্দর চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞাপন

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই দফায় ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে এনে নাব্য পরীক্ষা করা হয়। এরপরই টার্মিনালটি জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রস্তুত ঘোষণা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে দেশি না কি বিদেশি অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে— এ সংক্রান্ত জটিলতায় এতদিন টার্মিনালটি চালু হয়নি।

বন্দর কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠানকে পিসিটি পরিচালনার ভার দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে সরকারেরও সম্মতি মিলেছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সৌদি রেডওয়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনা (নেগোসিয়েশন) হয়ে গেছে। এখন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি, ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা অনুমোদন পেয়ে যাব। সেটি হয়ে গেলে এক মাসের (নভেম্বর) মধ্যেই আমরা চুক্তি সই করে টার্মিনাল তাদের কাছে হস্তান্তর করব।’

বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের ‘জি-টু-জি’ চুক্তির আওতায় সৌদি প্রতিষ্ঠানকে পিসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবেও রেড সি গেটওয়ের কাজের অভিজ্ঞতা আছে, সৌদি আরবের বাইরেও আছে। বাংলাদেশে তারা এই প্রথম আসছে বড় একটি বিনিয়োগ নিয়ে। এখানে সব ইক্যুইপমেন্ট, অপারেটিং কস্ট সব তারাই বহন করবে।’

বিজ্ঞাপন

‘আমাদের যেটা সুবিধা হবে— অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিশ্বে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। তাদের যে প্রযুক্তি, সেই উন্নতমানের প্রযুক্তি আমরা পাব। এখানে আমাদের বাংলাদেশের যেসব লোক কাজ করবে তাদের দক্ষতাও বাড়বে। রাজস্ব আয়, বন্দরের সুনাম, প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন, কর্মসংস্থান— সার্বিকভাবেই আমরা সুফল পাব,’— বলেন বন্দর চেয়ারম্যান এম সোহায়েল।

পতেঙ্গা টার্মিনাল চালু হলে দেশের বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে। ছবি: সারাবাংলা

পিসিটি পুরোপুরি চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ৩৭ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জন করবে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি টার্মিনাল সংযুক্ত হওয়া মানে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে তিনটি পার্ট আছে। এখানে একসঙ্গে তিনটি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা যাবে। বছরে পাঁচ লাখ টিইউস কনটেইনার আমরা হ্যান্ডলিং করতে পারব। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩২ লাখ টিইউস। সেখানে যদি আরও পাঁচ লাখ টিইউস যুক্ত হয়, তাহলে ৩৭ লাখ টিইউস হয়ে যাবে। আমাদের আমদানি-রফতানি আরও বেগবান হবে। যারা মালামাল আমদানি-রফতানিতে যুক্ত, তাদের অনেক সুবিধা হবে।’

প্রাথমিকভাবে ২০ বছরের জন্য সৌদি রেডওয়ের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে সৌদি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও টার্মিনাল নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে।

মে-জুনে শুরু বে-টার্মিনালের নির্মাণকাজ

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার শেষ প্রান্তে সিইপিজেডের পেছনে সাগরপাড় থেকে সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমনিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় ৯০০ একর ভূমিতে গড়ে উঠবে বে-টার্মিনাল। ২০১৬ সালে কারিগরি, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সাত বছর পর বে টার্মিনাল আলোর মুখ দেখছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বে-টার্মিনালের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হয়েছে। দেশি-বিদেশি পরামর্শক এবং বিদেশি বিভিন্ন বন্দর কর্তৃপক্ষ ও অংশীদারদের মতামতের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বে-টার্মিনালের নির্মাণ প্রক্রিয়াও শুরু হবে প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর। ছবি: সংগৃহীত

‘বে-টার্মিনালটা আমাদের একটা স্বপ্ন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা বে-টার্মিনালের মাস্টারপ্ল্যানটা চূড়ান্ত করেছি। দেশি-বিদেশি পরামর্শকরা ছিলেন, দেশি-বিদেশি অংশীজনরা ছিলেন। এখানে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি, দুবাই পোর্ট অথরিটি সম্পৃক্ত রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর তো আছেই, কোরিয়ান কনসালট্যান্ট সম্পৃক্ত রয়েছে। দেশি-বিদেশি সবার মতামত নিয়ে আমরা অত্যন্ত চমৎকার একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছি। বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট ও মডার্ন একটি টার্মিনাল হবে। আর টার্মিনাল বলা হলেও এটি আরেকটি বড় বন্দরের মতোই হবে। মোট কথা, এটি হবে বড় একটি বন্দর,’— বলেন বন্দর চেয়ারম্যান।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বে-টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে একটি এক হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল, একটি ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল এবং একটি দেড় হাজার মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। তিনটি টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৫৫ কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি। বাকি দুটি টার্মিনাল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ব্যবস্থায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের অর্থায়নে নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে। বে-টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি থাকবে। বে-টার্মিনালে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকবে। প্রকল্পের পূর্ব দিকে রয়েছে পোর্ট অ্যাকসেস রোড ও রেলপথ।

বে টার্মিনাল প্রকল্পটি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ১০ থেকে ১২ মিটার ড্রাফটের ছয় হাজার কনটেইনার বহন ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ নোঙর করা সম্ভব হবে। বন্দরের বিদ্যমান অবকাঠামোতে জেটিতে সর্বোচ্চ ১৮০০ একক ধারণক্ষমতার কনটেইনার জাহাজ ঢুকতে পারে। এখন বন্দরে জোয়ার-ভাটার ওপর ভিত্তি করে জাহাজগুলো জেটিতে ভেড়ে। কিন্তু বে টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টাই জাহাজ ভিড়তে পারবে।

সূত্রমতে, মাস্টারপ্ল্যানে বে-টার্মিনাল তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। বিনিময়ে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হবে বলে আশা মিলেছে। ১৪ মিটারের বেশি প্রাকৃতিক গভীরতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এই বে-টার্মিনাল নিয়ে। প্রস্তাবিত এই বন্দরে বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড। গভীরতা রক্ষায় ব্রেক ওয়াটার তৈরির প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক।

চূড়ান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী, এক হাজার ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি জেটিতে অংশীদার হিসেবে থাকছে দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড ও সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি। চট্টগ্রাম বন্দর ১৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ করবে। দেশে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি এলপিজি ও এলএনজির মজুত সক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ানোর টার্গেট নিয়ে বে-টার্মিনালে লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল এবং ডিপো স্থাপনের প্রস্তাবও পেয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের চতুর্থ জেটি হিসেবে এই লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী এই মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করবেন। এরপর আমরা মাস্টারপ্ল্যানটা লক করে ফেলব। আমরা ডিপিপি তৈরি ও টেন্ডারের দিকে চলে যাব। আশা করছি, টেন্ডারের কার্যক্রম শেষ করে আগামী বছরের মে-জুন নাগাদ আমরা পুরোপুরি নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। যতদূর জানি, চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটিও এখানে কাজ করবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমরা চ্যানেল ড্রেজিং ও ব্রেক ওয়াটারের কাজও শুরু করতে পারব। সব মুভমেন্ট আগামীকাল মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে শুরু হবে।’

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন