বিজ্ঞাপন

রংপুরে বেড়েছে শীতের দাপট, জনজীবনে দুর্ভোগ

January 2, 2024 | 11:52 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: রংপুরে ফের শুরু হয়েছে হাঁড় কাপানো শীতের দাপট। একইসঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে তীব্র শীত, অন্যদিকে গত দু’দিন থেকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়ছে নিম্ন আয় ও গরিব-অসহায় মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে দু’দিন থেকে সূর্যের আলো চোখে পড়ছে না এ অঞ্চলে। ফলে যানবাহনগুলোকে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, সারা দেশে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়বে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। এ কারণে উড়োজাহাজ, নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে।

তিনি বলেন, গ‘তকাল সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলিসয়াসের মধ্যে ছিল।’

এছাড়া ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও মাদারীপুর এবং খুলনা বিভাগের যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার বেশ কিছু এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলিসয়াস।

বিজ্ঞাপন

চলতি জানুয়ারি মাসে এক থেকে দু’টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে হঠাৎ করে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয় ও শ্রমজীবী মানুষ। খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন দুঃস্থরা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে অনেকেই বের হচ্ছেন বাইরে কাজের সন্ধানে। কয়েক দিন থেকে ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলে।

বিজ্ঞাপন

শ্রমজীবী আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে অনেক শীত। কনকনে শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। আর কাজ না করলে পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে হয়।’

এদিকে শীতের কারণে রংপুরে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন বিভাগে শীতজনিত রোগে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা ৫ শতাধিক ছাড়িয়েছে। হাসপাতালটি এক হাজার শয্যার হলেও বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসকরা।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। শীতজনিত কারণে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পর্যাপ্ত শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও চিকিৎসকরা সাধ্যমতো সেবা দিচ্ছেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন