বিজ্ঞাপন

ডিসেম্বরেও রফতানি আয় কমেছে

January 2, 2024 | 10:31 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টানা তৃতীয় মাসের মতো ডিসেম্বরেও দেশের রফতানি আয় কমেছে। মাসটিতে গত বছরের চেয়ে রফতানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ডিসেম্বরে দেশ থেকে প্রায় ৫৩১ কোটি ডলারের বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা রফতানি কমলেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ৮৪ শতাংশ। দেশের রফতানি আয়ে নামমাত্র প্রবৃদ্ধি থাকলেও ভবিষ্যত নিয়ে তা শঙ্কা তৈরি করেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছে প্রায় ৫৩১ কোটি ডলারের। মাসটিতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬২ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাসটিতে রফতানি কম হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রফতানি হয়েছিল ৫৩৬ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বরে রফতানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত মাসগুলোর তথ্য থেকে জানা গেছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও দেশের রফতানি কমেছে। অক্টোবরে রফতানি কমে প্রায় ১৩ শতাংশ ও নভেম্বরে প্রায় ৬ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই–ডিসেম্বর এই ছয় মাসে ২ হাজার ৭৫৪ কোটি ডলারের রফতানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এটি শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি কম হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এই সময়ে পোশাক রফতানি হয়েছে হয়েছে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ডলারের। এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম হলেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ওভেনে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

প্রথম ছয় মাসে কৃষিপণ্য ও প্লাস্টিক পণের রফতানি বেড়েছে। অন্যদিকে, প্রধান রফতানি খাতের মধ্যে হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও জুতা রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইপিবি ২০২৩ সালের জন্য বছর সমাপ্তির রফতানি তথ্য প্রকাশ করেছে। এই ক্যালেন্ডার বছরে আমাদের পোশাক রফতানি ৪৭ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি। অর্থাৎ বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ বছরে বাংলাদেশের মোট রফতানি আয় ২ শতাংশ বেড়েছে। আর এই প্রবৃদ্ধির বেশিরভাগই এসেছে পোশাক রফতানি থেকে।’

তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের মাসভিত্তিক রফতানির তথ্য বলছে বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মোটামুটি প্রবৃদ্ধি সহকারে বছরটি ভালোভাবে শুরু হয়েছিল। মার্চ ও এপ্রিলে টানা হ্রাস পাওয়ার পর, মে-সেপ্টেম্বর সময়ে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসে এবং তা বজায় থাকে। এবং বছরের শেষ প্রান্তিকে রফতানি পারফরমেন্স ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় নিচে নেমে আসে। যদিও ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ হ্রাস নিয়ে শেষ হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ’র এই নেতা বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য সুবাতাস বয়ে নিয়ে আসবে। কারণ, আমরা শিল্পের একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করছি। আমাদের সামনে নতুন সুযোগ রয়েছে, যা কাজে লাগানোর উপায় অন্বেষণ করছে। আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জও রয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য সরকার, উন্নয়ন অংশীদার ও সকল স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে অব্যাহত সহযোগিতা এবং সমর্থন সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন