বিজ্ঞাপন

‘ভোটের ফলাফল গাজী ও তার পরিবারের জনপ্রিয়তার প্রমাণ’

January 8, 2024 | 8:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

রূপগঞ্জ: ‘নির্বাচন আসলে অনেকে গোলাম দস্তগীর গাজীর বিপক্ষে নির্বাচন করতে আসে। শুধুমাত্র গাজী নয়, তার পরিবারের সদস্যদের নিয়েও অপপ্রচার করে। শুরু হয় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। অথচ গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নের জন্যেই কাজ করে গেছেন। তার পরিবারের সদস্যরাও সবসময় রূপগঞ্জের মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়। আর তাই গাজী ও তার পরিবারের লোকজনকে রূপগঞ্জের মানুষও পছন্দ করে মন থেকে। তারা কত জনপ্রিয়, এই নির্বাচনে সেটিই আরেকবার প্রমাণ হলো।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনভর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর রাত ১১টার দিকে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর সারাবাংলার সঙ্গে আলাপে এমন কথাই বললেন রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুরের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ সবুজ মিয়া। তার ভাষ্য, এই নির্বাচনে সব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের জাল ছিড়ে ভোটাররা বুঝিয়ে দিয়েছে রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য গোলাম দস্তগীর গাজী কতটা অপরিহার্য। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা যেভাবে সবার পাশে ছিল, তারও স্বীকৃতি সবাই দিয়েছে আজকের এই ভোটের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন- গোলাম দস্তগীর গাজী চারে চার

সবুজ মিয়া বলেন, শুধু রাস্তাঘাটের উন্নয়ন নয়, করোনা (কোভিড-১৯) থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গাজী পরিবারের অবদান রূপগঞ্জে অনস্বীকার্য। এর পাশাপাশি এলাকার যেকোনো মানুষের সুখে-দুঃখে যেভাবে গাজী পরিবারের সদস্যরা পাশে দাঁড়ায় তারও একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ভোটের ব্যবধানে।

বিজ্ঞাপন

রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য গোলাম দস্তগীর গাজী এখন পর্যন্ত যা প্রতিশ্রুতি করেছেন তার ৯৮ শতাংশই পূরণ করেছেন বলে মনে করেন সবুজ। বলেন, করোনার কারণে শতভাগ কাজ করতে না পারলেও অনেক কাজই এখনো চলছে। সবই ভোটারদের কাছে দৃশ্যমান। মূলত এই ভোটের ফলাফলে স্থানীয় রাজনীতিতে গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রভাবটাও বোঝায়। রূপগঞ্জের যেকোনো মানুষ চাইলেই গাজী পরিবারের যেকোনো সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে পারে।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দেন। ছবি: সুমিত আহমেদ/ সারাবাংলা

নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছেও একটা বার্তা দিতে চেয়েছে ভোটাররা। আর তা হলো অপপ্রচার করে নয় বরং ভোটারদের পাশে না থাকলে কেউ আসলে প্রার্থীর পাশেও থাকে না— যোগ করেন সবুজ মিয়া।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের মাছুমাবাদ গ্রামের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফ হোসেন মোল্লা সারাবাংলাকে বলেন, ভোট এলেই নানা অপপ্রচার শুরু হয়ে যায় গাজী পরিবারকে নিয়ে। এটা আসলে এক ধরনের রাজনীতি। ভোটাররা তা বুঝে গেছে আর সেটার প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভোটের ফলাফলে।

বিজ্ঞাপন

ভোটে অনিয়মের তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি কারও পক্ষ থেকেই। ছবি: সুমিত আহমেদ/ সারাবাংলা

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ভোটার নাজিউল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, গাজী সাহেব যে ভোট পেয়েছেন তা আসলে বাস্তবতা বোঝায়। এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা আমরা আগে ভোট দিতে পারতাম না। গাজী সাহেব এমপি হওয়ার পরে ২০১১ সালে আমাদের ভোট প্রয়োগ করার সুযোগ করে দেন। আর তাই আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, রূপগঞ্জে ভূমিদস্যুদের থাবা থেকেও বাঁচতেও আসলে গাজী পরিবারের সদস্যদের ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই আমাদের। একমাত্র তারাই আমাদের সম্পত্তি বাঁচাতে পারবেন বলে আমাদের সবাই বিশ্বাস করে। কারণ আমাদের জায়গাগুলোর এখনো রেজিস্ট্রি করা হয়নি। একমাত্র গাজী সাহেব আমাদের এই কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। অন্য কেউ তো এ বিষয়ে ভাবেনও নাই।

ভোটে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছবি: সুমিত আহমেদ/ সারাবাংলা

নাজিউল্লাহ আরও বলেন, রূপগঞ্জের যেকোনো মানুষ বিপদে পড়লে সবার আগে যার কাছে যায় তিনি গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি যদি ব্যস্তও থাকেন, তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী বা উনার ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি বিপদে পাশে দাঁড়ান। আর এমনভাবে পাশে যাদের পাওয়া যায় তাদের ভোট না দিয়ে অন্য আর কাউকে কিব ভোট দেওয়া সম্ভব? মানুষ হিসেবে তো কৃতজ্ঞতার জায়গাও থাকে। সব মিলিয়ে আসলে ভোটের ব্যবধান গাজী পরিবারের জনপ্রিয়তাকেই সবার কাছে প্রমাণ করে দিলো।

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে (রূপগঞ্জ) সংসদীয় আসনের ১২৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে, গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) পেয়েছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়া পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। অর্থাৎ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চাইতে এক লাখ ১১ হাজার ৪০৮টি বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।

বিজ্ঞাপন

বয়োবৃদ্ধরাও ছুটে এসেছিলেন ভোট দিতে। ছবি: সুমিত আহমেদ/ সারাবাংলা

এই নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে তিন হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টির মোহাম্মদ যোবায়ের আলম ভুঞা পেয়েছেন ৬০৪ ভোট, আলমিরা মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১৬৫ ভোট, ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, ইসলামি ঐক্যফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকে এ কে এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৮২০ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ৫৬৫ ভোট, ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী গোলাম মূর্তজা পেয়েছেন ৩৯১ ভোট।

আরও পড়ুন-

আরও পড়ুন- নৌকার ঢেউয়ে ভেসে গেল কেটলি, চোখে পড়েনি সোনালি আঁশ

আরও পড়ুন- রূপগঞ্জে নৌকার কাছে কেটলি ধরাশায়ী, জিতলেন গাজী

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন