বিজ্ঞাপন

রংপুরে ৫দিন দেখা নেই সূর্যের, শীতে বাড়ছে কাঁপুনি

January 13, 2024 | 4:42 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: টানা কয়েকদিন থেকেই উত্তারঞ্চলের জেলাগুলোতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন; সঙ্গে নামছে তুষারের মতো কুয়াশা। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের ভাগ্যে জুটেছে অবর্ণনীয় কষ্ট। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী এক সপ্তাহ আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা দুপুর পর্যন্তও থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রংপুর অঞ্চলে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসা শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে কোথাও কোথাও ঘটছে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাও। কেউ কেউ শীত নিবারণে গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়েও দগ্ধ হচ্ছেন। অধিকাংশ দুর্ঘটনা অসাবধানতার কারণে ঘটছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১১ দিনের ব্যবধানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। দগ্ধ রোগীদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এদের মধ্যে বার্ন ইউনিটে ১১ জন এবং বাকি ৩১ জনকে সার্জারি, শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দায়িত্বে নিয়োজিত চিকিৎসক ফারুক আলম জানান, চিকিৎসাধীন রোগীরা আগুন পোহানোসহ গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন। বার্ন ইউনিটে ১২টি শয্যার মধ্যে ১১ জন চিকিৎসাধীন। রোগীদের শরীরের ১০ থেকে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কয়েক দিন থেকে রংপুর অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীত থেকে বাঁচতে গ্রামের মানুষ খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ ও গরম পানির ব্যবহারও বেড়ে যায়। অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। অসাবধানতার কারণেই অধিকাংশ দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। সাধ্যমতো দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোগীদের আগুনের ব্যাপারে সচেতনও করা হচ্ছে।

এদিকে অগ্নিদগ্ধ রোগী ছাড়াও রমেক হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতের প্রকোপে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির চাপ। গত কয়েক দিনের তুলনায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক আব্দুল আহাদ জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগীও বাড়তে শুরু করেছে। বেশির ভাগ শিশু ও বয়স্করা শীতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, রংপুর ছাড়াও বিভাগের সৈয়দপুর, তেঁতুলিয়া, দিনাজপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। একই সঙ্গে স্থানভেদে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজমান রয়েছে। চলমান পরিস্থিতি কিছুটা সপ্তাহখানেক থাকবে।

সারাবাংলা/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন