বিজ্ঞাপন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাঠজুড়ে সরিষা, ভালো ফলনে খুশি কৃষক

January 15, 2024 | 10:18 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ সাজে সেজে রয়েছে মাঠের পর মাঠ। দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ। সরিষার ভালো ফলনে কৃষকদের মুখেও সোনারঙা হাসি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বরেন্দ্র অঞ্চল ও নদীর পাড়ে সরিষার আবাদ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

বিজ্ঞাপন

চাষিরা বলছেন, চরাঞ্চলসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দু’টোই কম হওয়ায় চাষিদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৫টি উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে ৩০ হাজার সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এবার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ৪৫ হাজার ৮২৫ মেট্রিক টন সরিষার।

এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ৭ হাজার ৫৬০ হেক্টর, নাচোলে ৯ হাজার ৫০ হেক্টর, শিবগঞ্জে ৫ হাজার ১০০ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর ও ভোলাহাটে ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের হাটবাকৈল দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত। আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য ফাঁকা থাকে। আর সেই জমিতেই অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। মাঠে এখন সরিষা দানা বেঁধেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

চাষি আব্দুল খালেক জানান, প্রতিবছর তার জমিতে বিভিন্ন ফসল আবাদ করে থাকেন। এবার ১০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৪/৫ হাজার টাকা। শুধুমাত্র বীজ ও আর সামান্য সার দিলেই সরিষা আবাদ করা যায়। আগাম আবাদের কিছু অংশ কাটা হয়েছে এবং বাকি ১৫ দিন পর কর্তন শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

আরেক চাষি আলাল উদ্দিন বলেন, ‘সরিষায় বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ মণ ফলন পাওয়া যায়। অগ্রহায়নের মধ্য ভাগ থেকে সরিষার চাষ শুরু করা হয় এবং পৌষ মাসের শেষ ভাগে কাটা শুরু হয়েছে। বাকি মাঘ মাসের প্রথম দিকে মাড়াই শুরু হবে।’

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, সরিষা চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। উপ-সহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজখবর রেখেছেন। এ বছরও সরিষার ভালো ফলনের হাতছানি দিচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘সরিষা চাষে কৃষকরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন, যা ইতিবাচক। এটি কৃষি ক্ষেত্রে আরেকটি সাফল্য। বারি ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ জাতের এবং এবার বিনা ১১ নতুন জাতের সরিষা জেলায় আবাদ হয়েছে। দেশি জাতের সরিষায় ৭০ থেকে ৭৫ দিনে ফসল উৎপাদন এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ৭৫ থেকে ৮০ দিনের ফলন হয়ে থাকে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন