বিজ্ঞাপন

সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে: বিজিবি মহাপরিচালক

February 7, 2024 | 1:05 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বান্দরবান: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবি’র কক্সবাজারে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার নির্দেশনা মেনে মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে।

এর আগে, বুধবার সকালে বিজিবি’র কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) আওয়াতাধীন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন বিজিবি’র মহাপরিচালক। একইসঙ্গে অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সকল বিজিবি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

পরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ খবর নেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের সরেজমিনে দেখতে যান তিনি।

এ সময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কক্সবাজার অঞ্চলের কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মায়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে এবং আহতদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।

সারাবাংলা/আই/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
যৌথবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহততাহলে ব্যাংকে কি মাস্তান-মাফিয়ারা ঢুকবে?— কাদেরকে রিজভীর প্রশ্নরাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহনযোগ্যতা ও আরাকান আর্মিব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের ঘোষণায় সিপিবি’র ক্ষোভভিয়েতনাম মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত কিংবদন্তি হো চি মিনমেট্রোরেলে ভ্যাট যাত্রীর ওপর চাপবে, পুনর্বিবেচনার অনুরোধ‘বৈষম্যমূলক’ পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যাহারের দাবি বুয়েট শিক্ষকদের‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধবিজয়ীদের ‘এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী সব খবর...
বিজ্ঞাপন