বিজ্ঞাপন

রাজধানীর পতন ঠেকাতে জান্তা সরকারের মিলিশিয়া বাহিনী গঠন

February 8, 2024 | 8:57 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে পেরে উঠছে না জান্তা সরকারের সামরিক বাহিনী। ইতোমধ্যে গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের পরাজয়ের খবর আসছে। অনেকেই বিদ্রোহীদের হাতে মারা পড়েছেন, কেউবা জীবন বাঁচাতে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। জান্তা বাহিনীর অনেক সদস্য বাংলাদেশেও আশ্রয় নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাজধানী নেইপিদো’র পতন ঠেকাতে ‘পিপলস মিলিশিয়া’ নামে একটি আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছে জান্তা সরকার। অস্ত্র, নগদ অর্থ ও খাবার বিনিময়ে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে। খবর দ্য ইরাবতি।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি গতকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানায়, মিয়ানমারের সরকার ইয়াঙ্গুন, বাগো, তানিনথারি অঞ্চলে এবং মোন রাজ্যে নিজেদের দুর্বল বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য ‘পিপলস মিলিশিয়া’ গঠন করছে। অস্ত্র, নগদ অর্থ এবং খাবারের বিনিময়ে এই আধাসামরিক বাহিনী লোক নেওয়া হচ্ছে।

দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল নায়ুন্ত উইন সোয়ে এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সো মিন গতকাল বুধবার সোম রাজ্যে মিলিশিয়াদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র হস্তান্তর করেছেন।

জেনারেল থেট পোন এবং ইয়াঙ্গুন কমান্ডার মেজর জেনারেল জাও হেইন ইয়াঙ্গুনের হেলেগু এবং তাইক্কি শহরে মিলিশিয়াদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া গত শুক্রবার পূর্ব বাগোতে জেনারেল তেজা কিয়াও এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কি থেইক মিলিশিয়াদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন।

উপকূলীয় আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়াও সোয়ার উ গত রোববার তানিনথারি অঞ্চলের মায়েক এবং গত সোমবার পশ্চিম বাগো মিলিশিয়াদের অস্ত্র দেন।

দেশটির রাজধানী নেইপিদো সীমান্ত এলাকা পূর্ব বাগো। যা জান্তা সরকারের স্নায়ু কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন এবং জান্তা বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এই এলাকায় সক্রিয়।

বিজ্ঞাপন

চার মাস আগেই পূর্ব বাগো মিলিশিয়া গঠন করা হয়। মূলত নেইপেদো’র চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করতেই তাদের হাতে অস্ত্র দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/এনএস

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন