বিজ্ঞাপন

‘কারা মানুষের জন্য কাজ করেছেন তা যাচাই হবে’

February 10, 2024 | 3:04 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছে, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারা মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পারেননি তা এবার যাচাই হয়ে যাবে। জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেটা আমরা দেখব।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করার পর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দলীয় নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা আছেন। প্রত্যেকটা নির্বাচন আমরা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ১৫ বছর ক্ষমতায়, কারা মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পারেননি— সেটা এবার যাচাই হয়ে যাবে। জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেটা আমরা দেখব। তবে আমি কোনো রকম সংঘাত চাই না। যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবেন তার বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যেই হোক।’

দলের প্রত্যেক নেতাকে নিজ নিজ এলাকার সংগঠন এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর ব্যাপারে যথাযথভাবে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় অনেক বছর হয়ে গেছে কাউন্সিল হয়নি। কিন্তু এখন দ্রুত কাউন্সিল করে সংগঠনগুলো যথাযথভাবে গড়ে তুলবেন।’

বিজ্ঞাপন

‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। ধাপে ধাপে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই অগ্রযাত্রা যেন আর কেউ নস্যাৎ করতে না পারে তাই অতন্দ্র প্রহরীর মতো জাতির পিতা আদর্শের সৈনিক আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেককেই কাজ করতে হবে। কারণ জাতির পিতার নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন করেছি। কাজেই স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে পৌঁছাতে হবে। আমরা কিছুতেই পিছিয়ে থাকব না। যে জাতি স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য সেই জাতি কেন পিছিয়ে থাকবে? অনেক ষড়যন্ত্র অনেক চক্রান্ত সবকিছু মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যাব।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।’

বর্ধিত সভায় আগত নেতাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘কষ্ট করে গণভবনে এসেছেন। সকলে মনে করেন নির্বাচনের পর এটাই আমাদের একটা মিলনমেলা। আমি জানি, কেউ নির্বাচনে জিতেছেন, কেউ জেতেন নাই। এর-ওপর, ওর-ওপরে ক্ষোভ আছে। আশা করি গণভবন বসে এইসব ক্ষোভটোভগুলো মিটিয়ে ফেলবেন। সবাই এক হয়ে কাজ করেন। তাহলে কেউ বাংলাদেশের ক্ষতি করতে পারবে না।’

বিজ্ঞাপন

সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা আদর্শ নিয়ে আমরা চলি। সেই আদর্শ হলো বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির পথেও আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। এদেশের প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবে, উন্নত জীবন পাবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের মানুষের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

বিশেষ বর্ধিত সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

এই বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যরা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপিসহ তাদের সমমনা শরিকদের নির্বাচন বয়কটে এবারের জাতীয় নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হন ৬২ জন। যারা আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয়লাভ করে। আর দুটি করে আসনে আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি জয়লাভ করে এবং কল্যাণ পার্টি জয় পায় একটি আসনে। তবে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন