বিজ্ঞাপন

সারা দেশে নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

March 26, 2024 | 8:15 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াই যেদিন শুরু হয়েছিল, আজ সেই স্মৃতিময় ২৬ মার্চ। আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। সারা দেশে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে দিবসটি। একই সঙ্গে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধ আত্মউৎসর্গকারী শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

বিজ্ঞাপন

বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে:

কিশোরগঞ্জ:

নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে কিশোরগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।

বিজ্ঞাপন

পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এদিন হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিভিন্ন মসজিদ, গীর্জায়-মন্দিরে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নরসিংদী:

নরসিংদীতে প্রত্যুষে মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সকাল ৮টায় মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং প্যারেড ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সবশেষে কুচকাওয়াজে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও হার-পাওয়ার প্রকল্পের ২৪০ জন নারী উদ্যোক্তার মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। এছাড়া জেলার সব উপজেলায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মহান স্বধীনতা দিবসটি উদযাপন করা হয়।

কুষ্টিয়া:

কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা কালেক্টরেট চত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, জেলার বধ্যভূমিগুলোতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

এছাড়াও জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং সব পুনর্বাসন কেন্দ্রে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ময়মনসিংহ:

দিনের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিভাগীয় জেলা ময়মনসিংহের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া।

পরে একে একে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দফতর, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

খাগড়াছড়ি:

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। ভোর ৫টা ৪৯ মিনিটে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরপরেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (এমপি), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।

শ্রদ্ধা জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পৌরসভার মেয়র নির্মেলেন্দু চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, রাজনৈতিক সংগঠন,সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এদিন সরকারি শিশু পরিবার ও জেল খানায় ব্যবস্থা করা হয় উন্নমানের খাবার।

পটুয়াখালী:

দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। প্রত্যুষে ডিসি স্কয়ারে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু মূরালে পুষ্পসস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম।

 

এরপর সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ নাজনীন নাহার রশিদ, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান, পৌরমেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এদিন সকাল আটটায় পটুয়াখালী এ্যাডভোকেট কাজী আবুল কাশেম স্টেডিয়ামে বেলুন ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও একযোগে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

মেহেরপুর:

সকাল ছয়টায় মেহেরপুর কলেজ মোড়ে অবস্থিত কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান। পরে জেলাবাসীর পক্ষেও তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সেখানে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজার:

দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনারে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অরুণোদয় স্কুলে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ।

পরে সকালে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে।

এর আগে গতকাল ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর কালো রাতে নিহত মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলাব্যাপী প্রতীকী ব্লাক আউট পালন করে জেলা প্রশাসন।

খুলনা:

মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।

গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার, কেডিএ, শ্রম অধিদফতর, আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি), সিভিল সার্জন অধিদফতর, আনসার ভিডিপি, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিআইডি, পিবিআই, এপিবিএন, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, জেলা কারাগার, ওয়াসা, পরিবেশ অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, আইনজীবী সমিতি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর, সমাজসেবা অধিদফতর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি অধিদফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ এবং এর অংগ ও সহযোগি সংগঠন, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সকাল আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। পরে একই স্থানে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, নৌ-স্কাউট, গার্লস গাইডের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সরকারি অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সহযাত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মহান দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মধ্যম আয়ের দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও এসডিজি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে চলছে।

২৬ মার্চ সিনেমা হলসমূহে ও উন্মুক্তস্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন/প্রামাণ্য চলচ্চিত্র/দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সকাল থেকে একটা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। শহিদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধ ভিক্তিক চলচ্চিত্র/প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং খুলনার সকল পার্ক, জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘর শিশুদের জন্য বিনা টিকিটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয়।

খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডির) উদ্যোগে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

বিকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, স্বাধীনতাসহ বাঙালির জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অশেষ। বঙ্গবন্ধু কোন চাপের কাছে মাথানত করেননি। তিনি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারা আজও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়বেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির ও সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহাবুবার রহমান। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম বন্দ এতে বক্তৃতা করেন।

এসময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন