বাংলাদেশ এখন দুর্নীতি চাষের উর্বর ভূমি: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন দুর্নীতি চাষের উর্বর ভূমি। বাংলাদেশে দুর্নীতির এমন একটি পাহাড় রচিত হয়েছে, সেই পাহাড়ের চূড়ায় এখন ক্ষমতাসীন অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর লোকেরা অবস্থান করছে। বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায় এখনো বাংলাদেশের নাম রয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমরে সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

রিজভী বলেন, ‘ডামি সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহীতা নেই, দায়বদ্ধতা নেই। কারণ, তাদের জনগণের ভোট লাগে না। তারা ভোটকে পাত্তা দেয় না। যারা জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করে তাদের কাছে জনগণ কী আশা করবে? বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা মতে বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষ দশের মধ্যে মাঝামাঝি অবস্থায় বাংলাদেশ অবস্থান করেছে। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে, লুটপাট করে টাকার পাচার করে বিশ্বের উন্নত দেশের শীর্ষ ধনীদের মাঝেও নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী এবং তাদের আত্মীয় স্বজনরা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত। দুর্নীতির মহাকাব্যের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। দুর্নীতি করে আর রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হরিলুট করেই চলছে অবৈধ সরকার। যারা দুর্নীতির মধ্যে ভাসছে তাদের কাছে মানবধিকার প্রিয় হবে কেন? ভোট প্রিয় হবে কেন? মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তাদের কাছে প্রিয় হবে কেন? এগুলো ছাড়াই তো তারা ক্ষমতায় থেকে অবাধে জনগণের টাকা লুটে নিতে পারছে। পৃথিবীর ধনী ধনী দেশে দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে পারছে।’

রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে যখন দুর্নীতিকে আসকারা দেওয়া হয়, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকতে সুযোগ দেওয়া হয়, তখন তারা অবৈধ দুর্নীতির টাকা নিয়ে সমাজে আধিপত্য বিস্তারে তারা মত্ত হয়ে ওঠে। এখন দেখছেন ক্ষমতাসীনগোষ্ঠীর আধিপত্যের জেরে জনপদের পর জনপদ রক্তাক্ত হয়ে উঠছে। রক্তের হলি খেলায় মেতে উঠেছে তারা। আজও মুন্সিগঞ্জে তাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একজন খুন হয়েছেন।’

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সমস্ত জরাজীর্ণতা ও সমস্ত গ্লানি মুছে নতুনভাবে দেশটাকে গড়ে তোলা, আমাদের যে লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফেরান, সে আন্দোলনকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করব, মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনব, সেটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।’

ইসরাইলি দু’টি কার্গবিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ওঠা-নামা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে যতটুকু শুনতে পাচ্ছি তাতে এ ঘটনা খুবই রহজ্যজনক এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছি।’

সারাবাংলা/এজেড/এনএস