বিজ্ঞাপন

চুয়েটের নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবার পাবে ১৪ লাখ টাকা

April 23, 2024 | 9:26 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া, বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে দুই লাখ করে মোট চার লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় আহত আরেক শিক্ষার্থীকে জেলা প্রশাসন থেকে তিন লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া, বাস মালিক সমিতি থেকে আহত শিক্ষার্থীকে এক লাখ টাকা দেবে বলে জানিয়েছে।

শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যদার একজন প্রতিনিধি, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব, বিআরটিসির সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি, রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদ হোসেন।

সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি শিগগিরই চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক সম্প্রসারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া, রাস্তায় যেন বেপরোয়া গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য স্প্রিড ব্রেকার দেওয়া হবে। যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিটসহ সবকিছু আছে কি না তা দেখার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। এ ছাড়াও, আহত শিক্ষার্থী তিন লাখ টাকা পাবেন। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরম পূরণ করে পাঠিয়ে দেব। দুয়েকদিনের মধ্যে আমরা টাকা হতাহতদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারব বলে আশা করছি।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত শাহ আমানত বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা যাবে বলে আশা করছি।’

চুয়েট উপাচার্য রফিকুল আলম বলেন, ‘শিগগিরিই চুয়েটে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য এক মাসের মধ্যে নতুন দু’টি বাস সংযোজন করা হবে।’

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই শান্ত সাহা (২০) ও তৌফিক হোসেন (২১) নামে দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে শান্ত চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের ও তৌফিক ২১ ব্যাচের ছাত্র। এ ঘটনায় জাকারিয়া হিমু আরেকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুর খবরে চুয়েট ক্যাম্পাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। রাতে ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে একটি বাসে আগুনও দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার স্টেশন থেকে দু’টি গাড়ি গিয়ে আগুন নেভায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন