বিজ্ঞাপন

পুলিশকে মারধরের ভিডিও করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

May 8, 2024 | 1:11 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মুন্সীগঞ্জ: গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যকে মারধর করছিল আনারস প্রতীকের সমর্থক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু এবং তার লোকজন। সে ঘটনার ছবি তুলছিলেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলজার হোসেন।

বিজ্ঞাপন

এতে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের মোবাইফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে আহত করে সাংবাদিককে। সেই সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভেতরে থাকা অন্তত ৭ জন সাংবাদিককে প্রায় ৩০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

বুধবার (৮ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার সাংবাদিক গোলজার হোসেন মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি।

মনিরুল হক মিঠু হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মারধরের ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যানের ভাতিজা তানভীর হক তুরিন।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল হকের সমর্থক মনিরুল হক মিঠু তার লোকজন নিয়ে জড়ো হচ্ছিলো। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কায় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা একজন পুলিশ সদস্য মো. সোহেলসহ সবাইকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় মিঠু ও তার লোকজন। পাশ থেকে ঘটনার ছবি এবং ভিডিও করছিলেন ওই সাংবাদিক।

পরে পুলিশকে রেখে সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করতে থাকেন মিঠু ও তার লোকজন। পরবর্তীতে অন্য সাংবাদিকরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলজার হোসেন বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের পাশে পুলিশকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে মারধর করছিলো চেয়ারম্যান মিঠুরা। সে ঘটনার ছবি ও ভিডিও করায় আমাকে মারধর করা হয়। এসময় আমার হাতে থাকা ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সব ছবি, ভিডিও মুছে দিয়ে ফোনটি ভেঙে ফেলা হয়।‘

বিজ্ঞাপন

মারধরের শিকার পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মো. সোহেল রানা বলেন, ‘কেন্দ্রের পাশে একটি দোকান ছিল। সেখানে আনারস প্রতীকের সর্মথকরা জড়ো হচ্ছিল। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আমি তাদের সরে যেতে বলি। সে সময় আনারসের সমর্থকরা আমার ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিক ছবি তোলায় তাকেও মারধর করে তারা।’

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রতন বৈরাগীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা এড়িয়ে যান।

মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন