বিজ্ঞাপন

আবারও গুম বৃদ্ধি পাচ্ছে: রিজভী

May 8, 2024 | 3:43 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আবারও নতুন করে গুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (০৮ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর এখন আবার আওয়ামী সাদা পোশাকধারী গেষ্টাপো বাহিনী নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-বুদ্ধিজীবীসহ অধিকার বঞ্চিত মানুষের ওপর দমন-পীড়ন-অত্যাচার, মিথ্যা মামলায় আটক, খুন-ধর্ষণ আর সীমাহীন সন্ত্রাস অবাধে চলছে রাষ্ট্রের মদদে। বিরোধী দলের ওপর হিংস্র আক্রমণ প্রতিদিনের সংবাদে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘লুণ্ঠনের রাজনীতি ও অর্থনীতির দেউলিয়াপনার বাস্তব চিত্র আড়াল করতে এবং জনগণের দৃষ্টিসীমা থেকে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক আড়াল রাখার বিধি-নিষেধের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে মানুষের মনোযোগ ভিন্ন খাতে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী অশান্তি জিইয়ে রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে সরকার। ডাকাতি আর লুটের সব অভিনব ঘটনা ঢাকতেই আওয়ামী হিংস্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবারও নতুন করে গুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রক্তপাতের ধারা বইছে সর্বত্র।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘গতকাল আসরের নামাজের সময় মসজিদে যাবার পথে সিদ্ধেশরী মাঠ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। যে গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নম্বর-ঢাকা মেট্রো-চ, ৫২-১৪৫০। নিজ কক্ষে ৩ ঘণ্টা আটকিয়ে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুই নেতা নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খানকে মারধর ও চরম নির্যাতন করা হয়েছে। পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অবৈধ সরকারের সুসজ্জিত সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। তারা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে হিংস্র হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে গণতন্ত্রমনা ছাত্রদের ওপর। এরা হামলা চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপরও। জীবন-জীবিকা সব কেড়ে নিঃস্ব, রিক্ত ও বিপর্যস্ত করছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ দেশের সবচেয়ে খতরনাক বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘আজ ভোরে পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক আব্দুল জলিল ও ইয়াসিন আলী নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। বিজিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ভারত এখন সরাসরি রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে বাংলাদেশে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ডামি সরকারের আত্মা বিক্রির জন্য।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটির বিচার চেয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। অথচ ভারতের এই রক্তাক্ত নির্মমতার বিষয়ে তিনি নিশ্চুপ। তাদের সব কসুর তিনি মাফ করে দেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ -এর রক্তপিপাসুর মাত্রা যেন দিন দিন তীব্র হচ্ছে। আওয়ামী সরকারের একতরফা ভারত তোষণ নীতির কারণেই বিএসএফ বাংলাদেশিদের মানুষ বলে গণ্য করছে না।’

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন