বিজ্ঞাপন

ঈদের ছুটিতে সড়ক ফাঁকা, ঢাকার যানজট গলিতে

June 16, 2024 | 7:24 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাপ্তাহিক শুক্র-শনিবার মিলিয়ে এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি পড়েছে পাঁচ দিন। শুক্র-শনি পেরিয়ে ঈদুল আজহার ঠিক আগের দিন দেখা যায়, ঈদে যাদের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা, তাদের প্রায় সবার ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়া শেষ। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। এখন যানজট গিয়ে ছড়িয়েছে ঢাকার অলিগলিতে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক এলাকাতেই ছোট-বড় গলিতে বসানো হয়েছে পশুর হাট। সেসব হাটের জটলা গলি ছাপিয়ে মূল সড়ক পর্যন্তও পৌঁছেছে। তবে গত দুদিনের তুলনায় সেই জটলা কিছুটা কমেছে।

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মতিঝিলসংলগ্ন গোপীবাগ এলাকায় প্রতি বছরের মতো এবারও পশুর হাট বসানো হয়েছে। তবে এবার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নির্ধারিত স্থান ছাড়িয়ে আশপাশের গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে পশুর হাট। ফলে যানজটও ছড়িয়েছে আশপাশের এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

বিপরীত চিত্র আবার মূল সড়কগুলোতে। ঢাকার বাসিন্দা কর্মজীবীদের বড় অংশ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় বাকিদের জন্য ঢাকা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সড়কে গাড়ির সংখ্যা যেমন কম, তেমনি যাত্রীর সংখ্যাও কম। পরিবহণসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তায় যানজট না থাকায় কম সময়ে পৌঁছানো যাচ্ছে গন্তব্যে।

রোববার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, যানজট-কোলাহল, সড়কের মোড়ে মোড়ে গাড়ি-রিকশার জট, গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার চিরচেনা চিত্র অনুপস্থিত। পাঁচ দিনের ছুটির কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের আনাগোনাও কম। ফাঁকা সড়কে নেই ব্যস্ততা নিয়ে ছুটে চলার চিত্র। নেই গাড়ির হর্ন, ওভারটেকিং নিয়ে রিকশাওয়ালাদের বাগ্‌বিতণ্ডা। যান্ত্রিক শব্দের অনুপস্থিতিতে ঢাকাকে চেনাই দায়!

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূল সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িসহ গণপরিবহণও অনেক কম। সে সুযোগে বেছে সাধারণ রিকশার পাশপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশার আনাগোনা। সকালের দিকে ব্যক্তিগত কিছু যানবাহনের বাইরে গণপরিবহণের সংখ্যা ছিল একেবারেই নগণ্য। সড়কে মাঝেমধ্যে দুয়েকটি বাস দেখা গেলেও তাদের যাত্রীর পরিমাণও ছিল সামান্য।

বিজ্ঞাপন

মিরপুর থেকে থেকে সায়েদাবাদগামী বিকল্প পরিবহণ বাসের চালকের সহকারী মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় মতিঝিল এলাকায়। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, অন্য দিন অফিস টাইমে মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আসতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লেগে যায়। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলে তো কথাই নেই। দিনে চারটার বেশি ট্রিপ দিতে পারি না। এখন তো রাস্তা ফাঁকা। গাড়ি ছাড়ার পর যেন মুহূর্তের মধ্যে চলে আসছি। যাত্রী কম হলেও এ রকম দ্রুত চলাচল করাটা খুব স্বস্তির।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, মৌচাক, মালিবাগ, বাড্ডা, বিশ্বরোড, বনানী, গুলশান, শাহাবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর, শ্যাওরাপাড়া অঞ্চলের রাস্তাগুলোতে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। ফলে কোনো ধরনের ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই যাতায়াত করতে পারছে পরিবহণগুলো। ইদের ছুটিতে যারা রাজধানীতে আছেন, তারা তাই বেশ নির্বিঘ্নেই গণপরিবহণ ব্যবহার করতে পারছেন, দ্রুতই যাতায়াত করতে পারছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন