বিজ্ঞাপন

‘বদনাম’ ঘোচাতে চান আড়তদাররা, জানালেন চামড়া সংরক্ষণের খরচ

June 16, 2024 | 10:46 pm

রমেন দাশ গুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রতি বছরের মতো এ বছরও কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কেনাবেচার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ট্যানারিগুলো লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা কাঁচা চামড়া কত দামে কিনবে, সরকার মূলত নির্ধারণ করে দিয়েছে সেই দর। স্বাভাবিকভাবেই কোরবানিদাতা কাঁচা চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে সেই দাম পান না। তা নিয়ে অভিযোগ ওঠে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে, যারা মূলত কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করে ট্যানারিগুলোর কাছে।

বিজ্ঞাপন

কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারির কাছে চামড়া বিক্রি করার আগে তাদের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। আর সেটা করতে গিয়ে তাদের যে খরচ করতে হয়, সেই খরচের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তাদের চামড়া কিনতে হয়। সেটিও সমন্বয় করা হয় সরকার নির্ধারিত সেই দরের সঙ্গেই।

এদিকে প্রতিবছর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ নিয়ে ‘সিন্ডিকেটবাজি’র অভিযোগও ওঠে। থাকে প্রশাসনের হয়রানিও। সেসব বিবেচনায় নিয়েই কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে কত খরচ পড়ে, সেই হিসাব প্রকাশ করেছে ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’। প্রথমবারের মতো এই হিসাব তারা দিয়েছে খাতওয়ারি খরচ উল্লেখ করে। চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীতে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া এ সংগঠনের সদস্যরাই কিনে ট্যানারি মালিকদের সরবরাহ করেন।

আরও পড়ুন- সর্বনিম্ন দাম হাজার টাকায় চামড়া বিক্রি হবে?

বিজ্ঞাপন

আড়তদারেরা বলছেন, পরিবহণ খরচ, লবণের দাম, শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে প্রতিটি বড় গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে এবার খরচ পড়বে অন্তত ৫০০ টাকা। সরকার ঢাকার বাইরে গরুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ন্যূনতম এক হাজার টাকা। প্রক্রিয়াজাত খরচসহ হিসেব করে সরকারি নির্ধারত দর ঠিক রাখতে গেলে আড়তদারেরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বেশি দামে কাঁচা চামড়া কিনতে পারবেন না। এ নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, সে কারণেই আগেভাগে প্রক্রিয়াজাত খরচ প্রকাশ করা হয়েছে।

‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ৯টি খাতে খরচের বিবরণ দিয়েছে। মোট খরচ দেখানো হয়েছে ৪৯৮ টাকা। এর মধ্যে একেকটি চামড়ায় ৯ থেকে ১০ কেজি লবণ দিতে হয়, যার দাম বাবদ ১৪০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। লেজ, কান, মাংস ও চর্বি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রতিটি চামড়ায় লবণ ছিটানোর মজুরি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। চামড়ার গাদী ভাঙা ও লাট দেওয়ার জন্য প্রতি পিসে ১৫ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। পরিবহণ খরচ এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে সংরক্ষণে প্যান্ডেল, লাইটিং, আপ্যায়ন ও বিদ্যুতের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ টাকা।

এর বাইরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চামড়া পাঠানোর জন্য প্রতি পিসে ট্রাক ভাড়া ৩০ টাকা, ট্রাকে প্রতি পিস চামড়া ওঠানোর জন্য মজুরি ৮ টাকা, ঢাকায় আড়তদারি বাবদ প্রতি পিসের জন্য ৪০ টাকা এবং প্রতি পিস চামড়ায় ব্যক্তিগত খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ টাকা। এ ছাড়া ঢাকায় আড়ত থেকে ট্যানারি মালিকের কাছে বিক্রির সময় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চামড়া বাদ দেওয়া হয়। এ হিসাবে প্রতি পিস চামড়ায় আরও ১২০ টাকা দাম যুক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- টানা ৪ বছর বাড়ছে, তবু চামড়ার দাম এক যুগ আগের দুই-তৃতীয়াংশ

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ সভাপতি আব্দুল কাদের সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। প্রশাসনের লোকজন, ভোক্তা অধিকার, গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের নানা প্রশ্ন করে। আমরা নাকি সিন্ডিকেট করে কাঁচা চামড়া নষ্ট করছি, দাম কমিয়ে দিচ্ছি, মৌসুমি সংগ্রহকারীদের টাকা দিচ্ছি না। নানাভাবে হয়রানি করা হয় আমাদের। সেজন্য এবার আমরা খরচের বিবরণ লিখে সমিতির অফিসে, কোরবানির পশুর বাজারে লাগিয়ে দিয়েছি। লিফলেটের মতো করে বিতরণও করেছি, যেন পরে কেউ আমাদের দোষারোপ করতে না পারে।’

ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩ টাকা বেড়েছে। ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, গত বছর এই দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, গত বছর ৪৭ থেকে ৫২ টাকা ছিল। এ হিসাবে প্রতিটি গরুর চামড়া ঢাকায় ন্যূনতম ১২০০ টাকা ও ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকায় কিনতে হবে ট্যানারি মালিকদের।

এ ছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হবে ট্যানারিতে, যা গত বছর ছিল ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা। আর বকরির চামড়া কিনতে হবে প্রতি বর্গফুট ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকায়, যা আগের বছর ছিল ১২ থেকে ১৪ টাকা।

বিজ্ঞাপন

আড়তদার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কোরবানিদাতা ও মৌসুমি সংগ্রহকারীরা মনে করেন, সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটা তাদের জন্য। তারা আমাদের কাছে সেই দরেই বিক্রি করবেন। আসলে সেটা তো ট্যানারি মালিকদের কেনার দর। আমরা তো তাদের কাছ থেকে সেই দামে কিনতে পারব না। সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটার সঙ্গে আমাদের খরচ যোগ করলে আমরা প্রতি বর্গফুট বড় গরুর চামড়ায় কোনোভাবেই ২৫ টাকার বেশি দিতে পারব না। একটি বড় চামড়া তিন-চার শ টাকার বেশিতে কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।’

কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রায় মাসখানেক পরে সেগুলো আড়তদাররা বিক্রি করে থাকেন ট্যানারিগুলোতে। সারাবাংলা ফাইল ছবি

‘এখন কেউ যদি কোরবানিদাতার কাছ থেকে বেশি দামে সংগ্রহ করে আমাদের কাছে এসে সেই দাম চায়, তাহলে তো আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব হবে না। তখন চামড়া যদি নষ্ট হয়, বলা হবে আমরা সিন্ডিকেট করেছি। সেজন্য আমরা মৌসুমি সংগ্রহকারীদের পরামর্শ দিই, প্রয়োজনে আপনারা নিজেরাই লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করুন। আমরা পরে কিনে নেব,’— বলেন আব্দুল কাদের।

সোমবার (১৭ জুন) কোরবানির পর প্রতিবছরের মতো দুদিন ধরে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ চলবে। এরপর সেগুলো আড়তে নিয়ে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে অন্তত একমাস পর বিক্রি করা হবে ট্যানারির কাছে। এবার লবণের দাম তুলনামূলক কম থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে আছেন আড়তদারেরা, যদিও বাড়তি পরিবহণ খরচ ও শ্রমিকের মজুরি নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা আছে।

আড়তদার মুসলিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার লবণের দাম বাড়েনি। ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণের দাম এক হাজার টাকার নিচে আছে। ১০০টি চামড়া সংরক্ষণের জন্য এক বস্তা লবণ লাগে। এবার মোটামুটি লবণে কিছুটা সুবিধা পাব।’

আব্দুল কাদের বলেন, ‘লবণের দাম কমলেও গাড়ি ভাড়া বাড়তি, শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। বিদ্যুৎ বিলসহ সব খাতেই তো খরচ বাড়তি। কতটা পোষাতে পারব বুঝতে পারছি না।’

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরী মিলিয়ে এবার সাড়ে আট লাখ থেকে পৌনে ৯ লাখ পশু কোরবানির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ২৬ হাজারের মতো গরু, ৭০ হাজার মহিষ এবং বাকিগুলো ছাগল ও ভেড়া।

আড়তদার সমবায় সমিতি এবার সাড়ে তিন লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গতবছর কোরবানির ঈদে প্রায় তিন লাখ ৪২ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়েছিল। এর মধ্যে আড়াই লাখের বেশি ছিল গরুর চামড়া।

সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল কাদের সারাবাংলাকে জানান, ট্যানারি মালিকদের চামড়া সরবরাহ করে চাহিদামতো টাকা না পাওয়া, বছরের পর বছর ধরে বকেয়া রেখে দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে পুঁজি হারিয়ে অনেক আড়তদার ব্যবসা ছেড়ে চলে গেছেন। আগে সমিতির অন্তর্ভুক্ত আড়তদার ছিলেন ১১২ জন। এর বাইরে ছিলেন আরও অন্তত ২০০ জন। এখন সব মিলিয়ে ২০ থেকে ৩০ জন আড়তদার কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পেশায় আছেন।

‘২০০৭ সাল থেকে ট্যানারি মালিকরা আমাদের টাকা দিতে গড়িমসি করছেন। কোটি কোটি টাকা পাওনা আছে আড়তদারদের। সাদা কাগজের ব্যবসা এটা, আমাদের কোনো স্লিপও দেওয়া হয় না। এ জন্য আমরা আদালতেও যেতে পারি না। সরকারও আমাদের কথা শোনে না। ট্যানারি মালিকরা লোন পায়, আমাদের লোন দেওয়া হয় না। পুঁজি হারিয়ে অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। আমরাও আর আগের মতো চামড়া সংগ্রহ করতে পারি না,’— বলেন আব্দুল কাদের।

চট্টগ্রামে ছোট-বড় ২২৫টি আড়তে চামড়া সংরক্ষণ হয়। কাগজে-কলমে এখন আড়তদার আছেন ৩৭ জন। অধিকাংশ আড়ত নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায়। কোরবানির দিন চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর থেকে আসা কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বেশি সমাহার ঘটে এ এলাকায়।

আড়তাদেরা সব চামড়া না নেওয়ায় এবং ‘ন্যায্য দাম’ না পাওয়ার অজুহাতে ২০১৯ সালে মৌসুমি ক্রেতারা সড়কে চামড়া ফেলে চলে গিয়েছিলেন। এর ফলে বিপুল পরিমাণ চামড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এর পরের দুবছর অর্থাৎ ২০২১ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারি ও লোকসানের শঙ্কায় মৌসুমি সংগ্রহকারীর সংখ্যা কমে যায়।

২০২২ সালে চট্টগ্রামে কাঁচা চামড়া সংগ্রহে নামে আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অঙ্গ সংগঠন গাউছিয়া কমিটি। তাদের তত্ত্বাবধানে কয়েক হাজার মাদরাসার ছাত্র ট্রাক নিয়ে নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ও গ্রামগঞ্জ থেকে চামড়া সংগ্রহ করেন। কোরবানিদাতারা বিনামূল্যেই চামড়া দেন তাদের। তারা নিজেরাই সংরক্ষণ করে আড়তে এবং ট্যানারি মালিকের কাছে বিক্রি করেন।

গাউছিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোসাহেব উদ্দিন বখতেয়ার সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত বছর তারা এক লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন। এ বছর তারা এক থেকে দেড় লাখ চামড়া সংগ্রহ করবেন। মোহাম্মদ আলী নামে চট্টগ্রামের একজন ট্যানারি মালিক চামড়া প্রক্রিয়াজাতের জন্য অর্থায়ন করছেন।

গত দুই বছর মাদরাসার মাঠেই চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তবে এবার দুই মাঠের একটি সংস্কার কাজ ও আরেকটিতে ঈদুল আজহার পরদিন থেকে ওরশ শুরু হওয়ায় বিকল্প স্থান নির্ধারণ করতে হয়েছে। ট্যানারি মালিক মোহাম্মদ আলী আতুরার ডিপো এলাকায় বেঙ্গল আড়তের মাঠে চামড়া রাখার স্থান ভাড়া নিয়েছেন। সেখানেই গাউছিয়া কমিটি সংগ্রহ করা চামড়া জমা করে প্রক্রিয়াজাত করবে।

চট্টগ্রাম নগরীতে চামড়া সংগ্রহের জন্য তাদের সংগঠনের অন্তত সাত হাজার কর্মী কাজ করবেন, যার মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে থাকবে চার থেকে পাঁচ হাজার। আর উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে আরও দুই হাজার কর্মী থাকবেন চামড়া সংগ্রহ করার জন্য। চামড়া সংগ্রহের জন্য নগরীতে ১০০টি ও বিভিন্ন উপজেলায় আরও ১০০টিসহ মোট ২০০ গাড়ি থাকবে।

মোসাহেব উদ্দিন বখতেয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিটি, উত্তর ও দক্ষিণ— তিন ভাগে চামড়া সংগ্রহ হবে। শহরে যেসব চামড়া আমরা পাব, সেগুলো সবই মোহাম্মদ আলী সাহেবের ট্যানারিতে দেবো। উত্তরে আলাদাভাবে চামড়া প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণেরগুলো এনে আমরা আড়তদারদের দেবো। উত্তরেরগুলো পরে আড়তদার বা সরাসরি ট্যানারি মালিকের কাছে দেবো।’

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন