বিজ্ঞাপন

দাবার বোর্ড থেকেই চিরবিদায় নিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

July 5, 2024 | 9:27 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দাবার বাংলাদেশি দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানমারা গেছেন। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা চলাকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। আরেক এনামুল হোসেন রাজীবের সঙ্গে খেলছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের কার্যালয়ে জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডের খেলা চলাকালীন আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জিয়াউরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের ইন্টারন্যাশনাল জাজ হারুনুর রশিদ। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। ১৯৮৭ সালে নিয়াজ মোর্শেদ দেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টারের স্বীকৃতি পান। ১৫ বছর পর ২০০২ সালে জিয়াউর রহমান গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পেয়েছিলেন।

দাবা ফেডারেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডে বিকেল ৩টায় এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলতে শুরু করেন জিয়াউর। বিকেল পৌনে ৬টার দিকে তিনি লুটিয়ে পড়েন। তখনো খেলা চলছিল। এ সময় খেলোয়াড়সহ অন্যরা তাকে দ্রুত তুলে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যান।

বিজ্ঞাপন

হারুনুর রশিদ বলেন, ফেডারেশন থেকে মিনিট দশেকের মধ্যে জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই জিয়া মারা গিয়েছিল।

পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জিয়ার মৃত্যুসনদ দেন চিকিৎসকরা। এর আগেই তাকে মৃত ঘোষণার পর থেকেই হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যসহ দাবাড়ু ও ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। তার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

প্রতিভাবান দাবাড়ু জিয়াউরের জন্ম ১৯৭৪ সালের ১ মে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করেছেন তিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই দাবা খেলতেন। শেষ পর্যন্ত দাবাকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

১৩ বছর বয়সে ১৯৮৭ সালে আন্তর্জাতিক রেটিং লাভ করেন জিয়া। তিন বছরের মাথায় ১৯৯০ সালে ফিদেমাস্টার হন তিনি। আরও তিন বছর পরই ১৯৯৩ সালে হয়ে যান আন্তর্জাতিক মাস্টার। এরপর দীর্ঘ ৯ বছরের অপেক্ষা শেষে ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন।

নিয়াজ মোর্শেদ ও জিয়াউরের পর দেশে আর মাত্র তিনজন গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাব পেয়েছেন। তারা হলেন— রিফাত বিন সাত্তার (২০০৬ সাল), আব্দুল্লাহ আল রাকিব (২০০৭ সাল) ও এনামুল হোসেন রাজীব (২০০৮ সাল)।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন