বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে ভুল চিকিৎসায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ

June 30, 2018 | 1:49 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বেসরকারি ক্লিনিক ম্যাক্স হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রাইফা নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৯ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

শিশু রাইফার বাবা চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুবেল খান। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা হাসপাতালের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) প্রতিনিধি থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

রুবেল খান সারাবাংলা’কে বলেন, ঠাণ্ডাজনিত গলা ব্যাথার কারণে রাইফাকে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই রাফিদাকে অ্যান্টিবায়টিক দেওয়া হয়। এ সময় রাফিদা অস্বস্তিবোধ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান বড়ুয়াকে ডাকে। তিনিও একই ধরনের ওষুধ দেন।

রুবেল জানান, রাতে ওই ওষুধ দেওয়ার পর থেকে রইফার খিঁচুনি শুরু হয়। বিষয়টি দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরীকে জানানো হয়। তিনি বিধান বড়ুয়ার সাথে কথা বলে ‘সেডিল’ ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর রাইফা নিস্তেজ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মারা যায় রাইফা।

এদিকে, রাইফার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান সাংবাদিরা। তাদের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিএমএ চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল থানায় যান।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকরা জানান, ফয়সাল ইকবাল থানায় সাংবাদিক ও পুলিশের সাথে এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া এবং কোনো সাংবাদিককে চিকিৎসা না দেওয়ার হুমকি দেন। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালামের সাথেও বাদানুবাদে জড়ান ফয়সাল ইকবাল । পরে ভোরে থানায় পুলিশ, বিএমএ ও সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস সারাবাংলা’কে বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওসি আবুল কালাম সারাবাংলা’কে বলেন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর ডাক্তার ও নার্সদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

হালিশহরে জন্ডিস পরিস্থিতি চরমে

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন