বিজ্ঞাপন

বাবা-মাকে দেওয়া চিঠিতে নানান আবদার থাই বালকদের

July 7, 2018 | 4:26 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

থাইল্যান্ডের ‘থাম লুয়াং নাং নন’ গুহায় আটকে পড়া ফুটবলাররা তাদের বাবা মায়েদের কাছে আবেগঘন চিরকুট পাঠিয়েছে। শুক্রবার (৬ জুলাই) ব্রিটিশ ডুবুরিদের হাতে এমন কয়েকটি চিঠি তুলে দেয় তারা। শনিবার (৭ জুলাই) থাই নেভি সিলের ফেসবুক পেজে এসব চিরকুট প্রকাশ করা হয়। হাতে লেখা সেসব চিঠিতে ভালোবাসা ও ফিরে আসার আশ্বাসের সঙ্গে নানান আবদার করতেও ছাড়েনি বালকেরা।

একটি চিঠিতে বাবা-মায়েদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘চিন্তা করো না। আমরা সবাই ভালো আছি।’

বিজ্ঞাপন

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মজা করে কেউ একজন লিখেছে, ‘দয়া করে, আমাদের আর বেশি বেশি বাড়ির কাজ দিবেন না।’

পং নামের এক বালক বাবা-মাকে লিখেছে,  ‘আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না। আমি নিরাপদে আছি।’

বিজ্ঞাপন

নিক নামে আরেকজন লিখেছে, ‘বাবা-মা ও ভাই-বোনকে ভালোবাসি। যদি বেরুতে পারি, আমাকে তোমাদের মোকাথা (থাই বারবিকিউ) কিনে খাওয়াতে হবে।’

তবে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বালকদের ২৫ বছর বয়সী কোচ এক্কাপোল চাটাওয়ং। তিনি চিরকুটে লিখেছেন, ‘প্রিয় বাচ্চাদের বাবা- মায়েরা, আমরা সবাই এখন নিরাপদে আছি। উদ্ধারকারী দল আমাদের জন্য সব চেষ্টাই করে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বাচ্চাদের সার্বক্ষণিক যত্ন নিব বলে কথা দিচ্ছি এবং যা ঘটেছে তার জন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চাই।’

বিজ্ঞাপন

তবে বাবা-মায়েরা জানিয়েছেন, কোচকে তার নিজের দোষারোপ করার কোন কারণ নেই।

বালকদের চিঠিগুলো স্থানীয় সরকারের ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়। সেখানে অনেক বাবা-মা কোচের পাশে আছেন জানিয়ে বলেন, ‘চিন্তা করো না। আমরা তোমার উপর মোটেও রাগান্বিত নই। বাচ্চাদের খেয়াল রাখার জন্য ধন্যবাদ।’

টেলিফোন তারের সংযোগ স্থাপনের ব্যর্থ চেষ্টার পর, এটিই থাই বালকদের সঙ্গে তাদের বাবা-মায়েদের প্রথম যোগাযোগ।

১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর, গত সোমবার গুহামুখ থেকে প্রায় ৪ কি.মি. ভিতরে থাই বালকদের অস্তিত্ব খুঁজে পান ব্রিটিশ ডুবুরিরা। সেই থেকে তাদের খাবার, অক্সিজেন ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বালকদের আটকেপড়া স্থানে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা ছিলো। তবে সেখানে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, থাই যুব ফুটবল দলের ১২ সদস্য তাদের কোচ গত ২৩ জুন থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং নাং নন গুহায় আটকা পড়ে। কিন্তু মৌসুমি বৃষ্টি ও বন্যায় দুরুহ হয়ে উঠেছে উদ্ধারকাজ। এর মধ্যে,  উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে একজন থাই ডুবুরির মারা গেছেন।

সারাবাংলা/এনএইচ/

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন