বিজ্ঞাপন

এসডিজি ট্র্যাকারের মাধ্যমে উন্নয়ন অগ্রগতির কঠোর তদারকির উদ্যোগ

January 16, 2019 | 1:31 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ট্র্যাকারের মাধ্যমে এই অভীষ্ট অর্জনের অগ্রগতি তদারকি করা হবে। তথ্য-উপাত্ত পারিসংখ্যানগতভাবে দৃশ্যমান করতে এবং সে অনুযায়ী সীমিত সম্পদের দক্ষ বণ্টন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি এই ট্র্যাকার তৈরি করেছে। এটুআই, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়ন ও এসডিজি ট্র্যাকারের ব্যবহার নিশ্চিত করছে।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো অডিটরিয়ামে এসডিজি ট্র্যাকার বিষয়ক এক কনসালটেশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এটুআই ও বিবিএস যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালা আয়োজন করে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রধান সুদীপ্ত মুখার্জ্জী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন ও এটুআই প্রকল্পের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন এটুআই হেড অব রেজাল্টস ম্যানেজমেন্ট ড. রমিজ উদ্দিন এবং বিবিএস উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ সফলভবে বাস্তবায়ন করা গেলে এসডিজির অনেক কিছুই অর্জন হবে। আমাদের দেশের আয় বৈষম্য কমাতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রদূত হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং বাংলাদেশের এই অর্জন সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এমডিজির মতো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনেও বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

বক্তারা বলেন, সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সঠিক নীতি নির্ধারণ এবং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করতে তথ্যনির্ভর নীতি নির্ধারণে অনলাইন তথ্যভাণ্ডার নিশ্চিত করাই মূলত এসডিজি ট্র্যাকারের মূল উদ্দেশ্য। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং এসডিজি ট্র্যাকার উন্নয়নের একেবারেই প্রাথমিক পর্যায় থেকে এটুআই বিবিএসের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ কিন্তু গতানুগতিক ও স্বাভাবিক ধারায় চলছে না, বাংলাদেশ চলছে অসম্ভব গতিতে। কাজেই আপনাদেরও সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে, যেন আগামী পাঁচ বছর পর বলতে না হয় কোনো ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হয়নি। কোনো কাজ হাফডান করা যাবে না। পূর্ণাঙ্গরূপে সব কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি উন্নয়ন এজেন্ডা হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ গ্রহণ করেছে। এর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে— কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে তথ্য-উপাত্ত নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রাধিকারভিত্তিক সম্পদের বরাদ্দ। একটি কার্যকর, তথ্যনির্ভর, বহুল ব্যবহৃত ও সমন্বিত এসডিজি পরিবীক্ষণ কাঠামো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে মূল ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, সেই নির্বাচনের ইশতেহার বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, ২০১৬ সাল থেকে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ইউএনডিপি বাংলাদেশসহ আরও ১৭০টি দেশে এসডিজি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এসডিজি সম্পর্কিত সব কার্যক্রম সমন্বয় করে এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নির্মাণের মাধ্যমে এসডিজি ট্র্যাকার বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করে। ইউএনডিপি এসডিজি ট্র্যাকার বাস্তবায়ন এটুআইকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করে এবং এটুআই অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে ট্র্যাকার উন্নয়নে সমর্থন দেয় এটুআই। ইউএনডিপির সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে এসডিজি ট্র্যাকার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বিবিএস এবং তথ্য ও পরিসংখ্যান বিভাগ এসডিজি ট্র্যাকারের মাধ্যমে উন্নয়ন পর্যবেক্ষণে এটুআইয়ের সঙ্গে কাজ করা যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেন, বিবিএস প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সভা-কর্মশালার আয়োজনের মাধ্যমে এসডিজি বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম শুরু করেছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ট্র্যাকারটি আমাদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন। আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে এর বিভিন্ন বিষয়ে মতামত নিচ্ছি। এরই মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষা বিশেজ্ঞদের নিয়ে কর্মশালা চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী এসডিজি ট্র্যাকার ব্যবহার করার জন্য এটুআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা তাদের সহায়তা করছি।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন