বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছিলেন শহিদুল আলম, রয়টার্সকে শেখ হাসিনা

October 14, 2018 | 1:59 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : কারাবন্দি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম মিথ্যা খবর ছড়িয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। আর সে কাজে তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছিলেন। এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেপ্টেম্বর মাসের শেষভাগে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সময়ে নিউইয়র্ক অবস্থানকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রয়টার্সের জনাথন স্পাইসার ও সিরাজুল কাদির এই সাক্ষাৎকারটি নেন, যা গত ১২ অক্টোবর প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়েছে, শহিদুল আলমকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ হিসেবে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে এই আচরণের জন্য তার পারিবারিক প্রেক্ষাপটকেও দায়ি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শহিদুল আলমের ‘গ্রেট আংকেল’ বাংলাদেশ বিরোধী ছিলেন।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেননি শেখ হাসিনা, ফলে অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন শহিদুল আলমের পরিবার ও আইনজীবী। তার আইনজীবী শাহদীন মালিক রয়টার্সকে বলেন, আন্দোলন চলাকালে শহিদুল আলমের বক্তব্য কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়।

বিজ্ঞাপন

গত আগস্ট মাসে দেশে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে সরকারের অবস্থান বিষয়ে সমালোচনা করার পরপরই গ্রেফতার করা হয় বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে।

শেখ হাসিনা রয়টার্সকে বলেন, যখন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টার করছিল ঠিক সেই সময় শহিদুল আলম মিথ্যা খবর ছড়াতে শুরু করেন। তিনি ওই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছিলেন, উসকানি দিচ্ছিলেন। আমরা শিশুদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু তিনি বারবার ওই শিশুদের ব্যবহার করছিলেন।’

‘তিনি সব মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছিলেন…এটা কীভাবে মেনে নেওয়া যেতে পারে?’ সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা।

ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের ‘গ্রেট আংকেল’ আব্দুস সবুর খানের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকারের এই মন্ত্রী বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতা করেছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশকে কখনো স্বীকারই করেননি। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে ছিলেন।’

‘কখনও কখনও রক্ত কথা বলে, আপনাকে এটা বুঝতে হবে,’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন শেখ হাসিনা।

সাক্ষাৎকারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়টিও উঠে আসে। সে প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা রয়টার্সকে বলেন, এই আইনে সাংবাদিকদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, ‘যদি সাংবাদিকরা মনে করেন যে তারা ভুল কিছু করছেন না তাহলে তারা কেন ভয় পাবেন?’

সারাবাংলা/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন