Tuesday 19 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আম্পানের অর্ধেক শক্তি ছিল ইয়াসের, কেমন হবে গুলাব?

সারাবাংলা ডেস্ক
২৭ মে ২০২১ ০১:১৫

ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানার পর থেকেই শক্তি হারাতে হারাতে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এরই মধ্যে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি ঝরিয়ে এবং আরও শক্তি হারিয় বুধবার (২৬ মে) রাত ১১টায় ঝাড়খাণ্ডে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড়টি। এসময় এটি ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছিল। ভারতের আবহাওয়া অফিসের সবশেষ তথ্য বলছে, বুধবার দিবাগত রাত ১২টাতেই এটি ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৬৩ ঘণ্টাতেই জীবনাবসান ঘটেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের।

বিজ্ঞাপন

ইয়াসের আঘাতে এরই মধ্যে লণ্ডভণ্ড ভারতের উড়িষ্যার বেশ কয়েকটি জেলা। মূল ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে না এলেও এর প্রভাব পড়েছে খুলনা-সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে। ১৪টি জেলা প্লাবিত হয়েছে ইয়াসের প্রভাবে। ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উড়িষ্যায় আঘাত হানা ইয়াসের শক্তি ছিল গত বছর বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানা সুপার সাইক্লোন আম্পানের শক্তির অর্ধেক। আর সে কারণেই আম্পানের প্রভাবে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, সে তুলনায় ইয়াসের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত টানা তৃতীয় বছরের মতো গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানল ঘূর্ণিঝড়। এখন প্রশ্ন হলো— পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ কবে আসছে! তার গতিপ্রকৃতিই বা হবে কেমন!

গুলাব নিয়ে আলোচনার আগে একনজর দেখে নেওয়া যাক, ইয়াসের প্রভাবে কতটা ক্ষতি হলো বাংলাদেশ-ভারতে। আর আম্পানের সঙ্গে এর শক্তিমত্তার পার্থক্যটাই বা কী ছিল।

আরও পড়ুন-

উড়িষ্যায় তাণ্ডব, উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ঘরহারা

আশঙ্কা ছিল, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা ও উড়িষ্যার বালেশ্বরের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। উপকূলে আঘাত হানার সময় গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে গতিপথে কিছুটা পরিবর্তন আসে। শক্তিমত্তাও কিছুটা কমে। ১৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে বালেশ্বর উপকূলে আঘাত হানে ইয়াস। পশ্চিমবঙ্গে ইয়াসের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত, বাড়তি উচ্চতার জোয়ারে বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও মূল তাণ্ডবটা ছিল উড়িষ্যাতেই।

ভারতীয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলোর খবর বলছে, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘর হারিয়েছেন। প্রবল বর্ষণ আর জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে হাজারের বেশি গ্রাম। উড়িষ্যায় অন্তত দু’জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্রগুলো।

 

উড়িষ্যা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১১শ গ্রামে ঢুকেছে জলোচ্ছ্বাসের পানি। ঢেউয়ের তোড়ে অন্তত ১০০ জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যের নিম্নাঞ্চলে অন্তত তিন লাখ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এক কোটির মতো মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনে করছেন তিনি।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত হানার মূল জায়গা উড়িষ্যায় অন্তত ১২০টি গ্রাম পানির নিচে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা সুরেশ মহাপাত্র জানিয়েছেন, এসব গ্রামের অধিবাসীদের আগেই আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল বলে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন না। জানা গেছে, মঙ্গলবারেই উড়িষ্যার উপকূলীয় এলাকার আড়াই লাখ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

কলকাতার গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, উড়িষ্যার জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক ও বালাশোর জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা লেগেছে সবচেয়ে বেশি। আর পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদেনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় ইয়াসের প্রভাব স্পষ্ট বোঝা গেছে।

দেশের ১৪ জেলা প্লাবিত

শুরুতে শঙ্কা ছিল, বাংলাদেশেও আঘাত হানবে ইয়াস। তবে গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, মূল ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে বেঁচে যেতে পারে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত হয়েছে সেটাই। তারপরও ইয়াসের প্রভাবে ১৪ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে চট্টগ্রামের চার উপজেলার বসতিতে

সারাবাংলার জেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর থেকে জানা যায়, বিশেষ করে ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলাতে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ার ঘটনা বেশি ঘটেছে। বেশ কয়েকটি জেলায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ও ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান অবশ্য বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে সরকার আগে থেকেই উপকূলীয় এলাকায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। সে কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত, সেটিও অনেকটাই ঠেকানো গেছে।

৬৩ ঘণ্টায় জীবনাবসান ইয়াসের

ভারতের আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, সোমবার (২৪ মে) ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে জন্ম নেয় ইয়াস। ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের দিকে এগুতে থাকে ঘূর্ণিঝড়টি। বাড়তে থাকে গতি। শেষ পর্যন্ত গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানে ইয়াস।

উড়িষ্যার উপকূলে সকালেই আছড়ে পড়ার পর থেকেই ইয়াস শক্তি হারাতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছিল, এটি অতি প্রবল থেকে শক্তি হারিয়ে প্রবল না হলেও ঘূর্ণিঝড় রাতে ঝাড়খাণ্ড পর্যন্ত তাণ্ডব চালাবে। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের দেওয়া বার্তার তথ্য বলছে, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) নাগাদ ইয়াস উড়িষ্যা সীমান্ত পেরিয়ে ঝাড়খাণ্ড প্রবেশ করছিল। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো ও দমকা হাওয়া আকারে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল। এর গতিপথের বেগও তখন কমে হয়েছিল ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার।

গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ইয়াস, অবস্থান করছে ঝাড়খাণ্ডে

পরে দিবাগত রাত ৩টায় ভারতের আবহাওয়া অফিসের জারি করা সবশেষ বুলেটিনের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা নাগাদ ঝাড়খাণ্ডে প্রবেশ করতে করতে ইয়াসের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ নেমে আসে ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটারে। অর্থাৎ এই সময়েই ইয়াস গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। তাতে জন্মের ৬৩ ঘণ্টাতেই ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’-এর মৃত্যু ঘটছে।

ইয়াসের শক্তি ছিল আম্পানের অর্ধেক

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, একটি ঘূর্ণিঝড়ের সুপার সাইক্লোন হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত শক্তির প্রয়োজন পড়ে। এসব ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র শক্তিশালী কেন্দ্র কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। আর কেন্দ্রের সেই অংশকে বলে ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’। সাধারণত আবহাওয়া অফিসের শক্তি পরীক্ষায় সাড়ে ৪ বা তার বেশি নম্বর পেলে ঝড়ের চোখ তৈরি হয়। গত বছর আঘাত হানা সুপার সাইক্লোন আম্পানের ক্ষেত্রে এই নম্বর ছিল ৬.০। তার ‘চোখ’টিও ছিল বেশ বড়। কিন্তু ৩.০ নম্বর পাওয়া ইয়াসের ‘চোখ’ই তৈরি হয়নি বলে জানাচ্ছেন ভারতের আবহাওয়াবিদরা। সে হিসাবে আম্পানের তুলনায় ইয়াসের শক্তিমত্তা অর্ধেক।

ভুবনেশ্বর আবহাওয়া দফতরের হাবিবুর রহমান বিশ্বাস ও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের গণেশকুমার দাসের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের খবর বলছে, ‘চোখ’ না থাকার কারণেই আম্পানের চেয়ে অনেকটাই আলাদা ইয়াস। আর এটিই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।

সরাসরি ঘূর্ণিঝড় আঘাত না করলেও বাংলাদেশের অনেক এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন

গণেশকুমার দাস বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ঘূর্ণিঝড় হয়। এর মধ্যে ইয়াস অনেকটা ‘সিয়ার প্যাটার্নে’র। এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে মেঘের অবস্থান থেকে অল্প দূরে থাকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রবিন্দু। ইয়াসের সঙ্গে থাকা মেঘের অবস্থান ছিল ঘূর্ণিঝড়ের সামনের দিকে। ইয়াস হেলে থাকার কারণেই উড়িষ্যায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল বেশি। আবার একই কারণে দিঘাসহ পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের দাপট ছিল বেশি।

পরের ঘূর্ণিঝড় গুলাব

আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য বলছে, এক ঘূর্ণিঝড়ের থেকে আরেক ঘূর্ণিঝড়ের মাঝের সময় ক্রমেই কমছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এর মূল কারণ। এছাড়া এল নিনোর প্রভাবে মহাসাগরের গরম পানির স্রোতের গতি কমে যাচ্ছে। তাতে সাগরের তাপমাত্রা বাড়ছে। এ বছরের এই সময়টিতেই যেমন ভারত মহাসাগরের উষ্ণতা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দুয়েক ডিগ্রি বেশি। সামুদ্রিক এই উষ্ণতাও নিম্নচাপ ও নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় জন্ম দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ও নিকটবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে গত তিন বছর ধরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে এপ্রিল-মে মাসে, তথা গ্রীষ্মকালে। ফণী, আম্পান ও ইয়াস টানা তিন বছর এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। এই অঞ্চলের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ও কি একই সময়ে আসবে— এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রকৃতপক্ষে কারও পক্ষেই সম্ভব না।

ঘূণিঝড় আসার সম্ভাব্য সময় বলা না গেলেও এটি পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ওই ঝড়টির নাম হবে ‘গুলাব’, যেই নামটি রেখেছে পাকিস্তান।

একসময়ে সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হতো ঝড়কে। সেটি সাধারণ মানুষের কাছে ছিল দুর্বোধ্য। এ কারণেই বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লুএমও) আঞ্চলিক কমিটি ওই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। এ ক্ষেত্রে অঞ্চলের দেশগুলো বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে রাখে, সেখান থেকেই ক্রমানুসারে একেকটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়।

ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই অঞ্চলের আটটি দেশ— বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ওমান। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই চর্চা। সে বছর বাংলাদেশের দেওয়া নাম ‘অনিল’কেই প্রথম কোনো ঝড়ের নাম হিসেবে রাখা হয়।

গত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে আম্পানের নাম দিয়েছিল থাইল্যান্ড। ফণী নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। বুলবুল ছিল পাকিস্তানের দেওয়া নাম। ইয়াস নামটি ওমানের। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় গুলাব নামটি দিয়েছে পাকিস্তান।

গুলাব শব্দটি উর্দু। এর অর্থ গোলাপ ফুল। নামে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুল হলেও বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে যখন উপকূলের দিকে ধেয়ে যাবে, গুলাবকে নিশ্চয় আর সুগন্ধী ফুল ভেবে বসে থাকার উপায় থাকবে না। ফুলের নামে নাম হলেও এটিই হয়তো হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর প্রাণঘাতী। তা না হয়ে ঝড় হলেও যেন গুলাবে ফুলের কমনীয়তা থাকে— এটুকুই কেবল প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করতে পারে মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে আরও পড়ুন-

উড়িষ্যার খুব কাছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস
দিঘাতে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির আভাস
ইয়াস: বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পশ্চিমবঙ্গের ২ জেলায় ৬৬টি বাঁধে ভাঙন
ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় ১৪ জেলা প্লাবিত
বেড়িবাঁধ ভাঙার আতঙ্কে খুলনা উপকূলবাসী
ইয়াসেআতঙ্কে কলকাতার ৯টি উড়লসড়ক বন্ধ
চট্টগ্রামে ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: জেলা প্রশাসন
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর গতি হতে পারে ১৯০ কিলোমিটার!
রাতেই অতি প্রবল রূপ নিচ্ছে ইয়াস, পশ্চিমবঙ্গে টর্নেডো
বরগুনায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি, প্রস্তুত ৬৪০ আশ্রয়কেন্দ্র
‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ৩ গুণ বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: প্রতিমন্ত্রী
মঠবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ, দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি
শ্যামনগরের দুর্গাবাটি-গাবুরা দিয়ে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে
সাতক্ষীরায় পরবর্তী জোয়ার নিয়ে সংশয়, পানি বেড়েছে নদ-নদীতে
তাণ্ডব চালিয়ে শক্তি হারিয়েছে ইয়াস, পশ্চিমবঙ্গে ভেঙেছে ৩ লাখ বাড়ি
উত্তাল সাগরে মৃত্যুর মুখে পড়া ১২ নাবিককে উদ্ধার করলো বিমানবাহিনী

সারাবাংলা/টিআর

ইয়াস উড়িষ্যা উপকূল ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ঘূর্ণিঝড় গুলাব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর