বিজ্ঞাপন

ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিল চেয়ে রিভিউ আবেদন

December 24, 2017 | 10:37 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৯০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরে নেওয়া হয়। রিভিউ আবেদনে রায়ের অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ ও পুরো রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে ‘রিভিউ’ প্রস্তুতির জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছিল। যা গত ২০ অক্টোবর জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি গত ১ আগস্ট প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। এরপর ১৮ আগস্ট রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়গুলোর একটি বিচারকদের অপসারণ সংক্রান্ত। বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রাখা হয়েছিল।

এরপর ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর পর বিচারক অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণের বিষয় নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়।

সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আদালত অবৈধ ঘোষণার পর সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনলেও তাতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এরপর ২০১৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়, যাতে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা ফিরে পায় সংসদ।

সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ই নভেম্বর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ৯ জন আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক শুনানির পর হাই কোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল দেযন।

রুলে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

পরে ২০১৬ সালের ৫ই মে হাই কোর্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেযন।

এর বিরুদ্ধেই আপিল করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ, যা এ বছরের ৩ জুলাই খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন