বিজ্ঞাপন

জার্মানির হয়ে আর খেলবেন না ক্ষুদ্ধ ওজিল

July 23, 2018 | 11:51 am

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

হঠাৎই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জার্মানির তারকা মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। তবে বয়স বা ফর্মের কারণে নয়, বিদায়বেলায় বর্ণবাদ এবং সম্মানহানির বিষয়টি কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি। আর্সেনালের মিডফিল্ডার ওজিল জানিয়েছেন, জার্মানির হয়ে আর খেলতে চান না তিনি।

রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় জার্মানি। রোববার এক বিবৃতিতে দিয়ে ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার জানান, জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) ‘আচরণ’-এর কারণে জাতীয় দলকে বিদায় বলছেন তিনি। ওজিলের দাবি, রাশিয়ার আসরে দলের ব্যর্থতার জন্য তাকে দায়ী করা হচ্ছে।

জার্মানি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) ওয়েবসাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবশ্য ওজিলের এই অবসরের বিষয়ে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। টুইটে ওজিল লিখেছেন, ‘আমি আর জার্মানি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে চাই না। আমি বর্ণবাদ এবং অবমাননার শিকার।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে ওজিল দেখা করেছিলেন। লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করার সময় তার সঙ্গে ছিলেন সতীর্থ ইলকে গুনডোগান। দু’জনই তুরস্কের বংশোদ্ভূত জার্মান মিডফিল্ডার। এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করার কারণে ওজিলকে নিয়ে জার্মানির রাজনীতিবিদরা সমালোচনা করেছিলেন। মাঠে এজন্য অনেকবারই দুয়ো শুনতে হয়েছে এই মিডফিল্ডারকে। টেলিফোনে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, বিশ্বকাপে জার্মানির ব্যর্থতার জন্যও নাকি ওজিলকে দায়ী করা হয়েছে।

জাতীয় দলের হয়ে খেলা ৯২ ম্যাচে ২৩ গোল করেন ওজিল। ২০১৪ সালে জার্মানির ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই মিডফিল্ডার।

বিজ্ঞাপন

সেই ক্ষোভ থেকেই অন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান ওজিল। তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিজেকে যেন অবাঞ্ছিত মনে হচ্ছিল ৷ আমার মনে হয়, ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর দেশের হয়ে আমার সব অবদানের কথা সবাই ভুলে গিয়েছে। জাতীয় দলে এমন জাতিভেদ অত্যন্ত অপমানজনক৷ দল জিতলে আমি জার্মান আর দল হারলে আমি অনুপ্রবেশকারী। বারবার আমাকে এই কথা শুনতে হয়েছে।’

এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে ওজিল জানান, ‘কোনো রাজনৈতিক কারণ ছিল না। আমার পূর্বপুরুষের দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তুলেছি ওই দেশের সঙ্গে আমার শেকড়ের সম্পর্কের সম্মানের জায়গা থেকে। আমি কোনো নির্বাচন, রাজনীতি কিংবা কোনো ব্যক্তিস্বার্থে সেখানে যাইনি। কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নয়, বরং ওই দেশের প্রেসিডেন্ট পদটাকেই সম্মান দেখাতে চেয়েছি। যখন ম্যাচ জিতি তখন আমি নিজেকে জার্মানির খেলোয়াড় হিসেবেই দেখি। অনেক গর্ব আর রোমাঞ্চ নিয়ে আমি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতাম। কিন্তু এখন তা আর হবে না।’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন