বিজ্ঞাপন

আজও ফাঁকা ঢাকা

August 26, 2018 | 3:26 pm

। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে নগরীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা। জনপ্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় থেকে শুরু করে পুরো রাজধানীর অফিসপাড়ায় শুরু হয়েছে নিয়মমাফিক কাজ। তারপরও নগরী তার পুরনো রূপে ফিরেনি।

রোববার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর সাচিবালয় এলাকা থেকে শুরু করে মতিঝিল, পল্টন, দৈনিকবাংলা, গুলিস্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অফিস-আদালতে উপস্থিতি অনেক কম। সড়কেও কম যানবাহন চলাচল। অন্যদিন যে সড়কে যানজটে নাকাল হতে হয় রাজধানীবাসীকে আজ সেখানে দ্রুততার সঙ্গে চলছে গাড়ি।

সকাল ৯ টা থেকে ১০ পর্যন্ত অফিসগামীদের কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে চাপ কমে এসেছে। এ ঘণ্টার পথ যে কোনো পরিবহনে যাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটে। নগরবাসী বলছেন, ছুটি শেষ হলেও ঈদ ফিরতি মানুষের উপস্থিতি শতভাগ হতে এ সপ্তাহ লেগে যাবে।

বিজ্ঞাপন

আব্দুল্লাহপুর থেকে সদরঘাটগামী সুপ্রভাত পরিবহনের চালক সাইফুল জানান, সদরঘাট থেকে ট্রিপগুলো ফুল যাচ্ছে কিন্তু ফিরতি ট্রিপে যাত্রী কম থাকছে। এ অবস্থা এ সপ্তাহের পুরোটা কাটবে বলে ধারণা তার। তিনি বলেন, ঈদের এ সময়টাতে সড়কের অবস্থাখুব ভালো থাকে। জ্যাম নেই। অন্যদিন যেখানে ৩ থেকে ৪ ট্রিপ মারতাম এখন সেখানে ৬ থেকে ৭ ট্রিপও মারা যায়।

এদিকে রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ, ফার্মগেট, হাইকোর্ট মোড়সহ বেশ কিছু পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে গণপরিবহনের উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় অন্তত ৪০ ভাগ কম। পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তাদের অনেকটাই অলস দেখা গেছে।

বেলা পৌনে ১২ টায় হাইকোর্ট মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ বোরহান উদ্দিন জানান, সকাল থেকে ডিউটিতে আছি। কিন্তু তেমন চাই নেই। ভাব দেখে মনে হচ্ছে এ অবস্থা আরো দু’তিন দিন থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নগরীতে কর্মব্যস্ততা শুরু হলেও এখনো অনেকেই ঈদের আনন্দের মধ্যে রয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে অনেককে। বেলা ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা যায় বেশ ক’টি পরিবার দলবেধে ঘুরতে এসেছেন। শহীদ মিনারের মূল বেদিসহ বিভিন্ন স্থানে দাড়িয়ে বসে ছবি তুলছেন তারা।

তাদের মধ্যে মাওলানা আমিনুল ইসলাম জানান, ঢাকার ঈদের সময় পরিবার নিয়ে ঢাকার বাইরে ছিলেন। আজকের দিনের মধ্যে ঢাকার মধ্যে বেশ কিছু যায়গা ঘুরে দেখার ইচ্ছা আছে।

অন্যান্য স্থানের মতো রাজধানীর ব্যাংকপাড়ায়ও মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম। অফিসগুলোর স্টাফ থেকে শুরু করে সাধারণ ক্লায়েন্ট কম হওয়ায় অনেকটাই সুনশান প্রতিদিনের কোলাহলপূর্ণ এলাকা মতিঝিল।

বেসরকারি মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা আবু সাইম জানান, তাদের অফিসে প্রতিদিন যে পরিমান ট্রানজেকশন এ সপ্তাহে সে তুলনায় অনেক কম হবে। প্রতিবারই ঈদের সময়টিতে এমন হয় বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নগরীতে নাগরিকদের উপস্থিতি কম হওয়ায় এখনো ফাঁকা ফুটপাতের বিভিন্ন মার্কেটও। রাজধানীর দোয়েল চত্ত্বর এলাকায় মাটির তৈজসপত্র কিংবা নার্সারীগুলোয়ও ক্রেতাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসলেও বেচাবিক্রি নেই বলে জানান, সেখানকার একজন দোকানী ওবাইদুল হক।

তিনি জানান, ঈদের প্রায় সপ্তাহখানেক আগে থেকে ক্রেতাদের দেখা পাইনা। এ অবস্থা আরো সপ্তাহখানেক চলবে। আশা করছি আগামী সপ্তাহনাগাদ আবার পুরনো চেহারায় ফিরতে পারব।

সারাবাংলা/এমএস/একে

 

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন