বিজ্ঞাপন

রক্ষা করা হবে আড়িয়াল খাঁ’র তীর

August 27, 2018 | 9:02 am

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আড়িয়াল খাঁ নদীর তীর রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ‘ফরিদপুর জেলার আড়িয়াল খাঁ নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং’ নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এটির বাস্তবায়ন শেষ করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

প্রকল্পটি গ্রহণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধ এবং বন্যার কবল থেকে স্থানীয় জনগণকে রক্ষা করা। এছাড়া বিদ্যালয়, হাট-বাজার, রাস্তা, ব্রিজ, ফসলি জমি, বসবাসের বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় উপসানালয়, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদী ভাঙন থেকে রক্ষা, নদী ড্রেজিং করে নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা এবং নদী তীরের ভাঙন রোধ করাই হচ্ছে প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞাপন

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সদরপুর উপজেলার চন্দ্রাপাড়া ও ভাংগা উপজেলার দুয়ার দরগা বাজার ও জিক্কার মোড় এলাকা আড়িয়াল খাঁ নদীর ডান তীরে অবস্থিত। কয়েক বছর ধরে এই এলাকা নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। বর্তমানে ভাঙনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং দুয়ার দরগা বাজারের অনেক দোকান পাট নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এই এলাকা ভাঙন কবলিত হওয়ার ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং সংলগ্ন এলাকা, গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট নদী ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।

এছাড়া, চর বন্দরখোলা এলাকায় নদীর ভাঙনে হাজারী হাজির কান্দি ও গিয়াস উদ্দিন ফকির কান্দি গ্রামের প্রায় দুইশ পরিবার বাড়ি ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ও কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষার জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কারিগরি কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের আওতায় ৫ দশমিক ৩৮০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, ২৮৩ মিটার এন্ড টার্মিনেশন এবং ৬ দশমিক ৩০ মিটার নদী ড্রেজিং করা হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাটবাজার, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/জেজে/এসআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন