বিজ্ঞাপন

আসুন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলি: প্রধানমন্ত্রী

October 6, 2018 | 6:51 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই সকলে একসঙ্গে কাজ করে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। তাই আসুন, দেশকে আমরা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি।

শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসবভন গণভবনে লায়ন ও লিও মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে সেবাটা, এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। মানুষের জন্য সেবা করা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো-এর থেকে বড় কাজ আর কি হতে পারে। আমি আমার জীবনটাকে উৎসর্গ করেছি বাংলার জনগণের জন্য। এখানে আমার নিজের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। শুধু একটা জিনিসেই চাই, যে দেশকে আমার পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যে স্বপ্নটা তার ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত, উন্নত বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশকে সেভাবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আমাদের এখানকার করণীয় বা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আজকে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পাচ্ছে, স্বীকৃতি পাচ্ছে। বাঙালিরা একসময় বিদেশে গেলে সবাই বলত, বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়, দুর্ভিক্ষ…ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন আর সে কথা কেউ বলে না। আপনারা নিশ্চয়ই বিদেশে যখন যান তখন সেটা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারেন। এখন বাংলাদেশ শুনলে মানুষ বলে, ‘ও…বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তো উন্নয়নের রোল মডেল।”

এই সম্মানটা অত্যন্ত আমরা অর্জন করতে পেরেছি। আশা করি, এই সম্মানটা যেন ধরে রাখতে পারি। সেটাই আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আমরা চাই, আমাদের সকলে একসঙ্গে কাজ করে এই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।

আসুন, দেশকে আমরা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবেই পালন করার প্রত্যয় করার পাশাপাশি ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ এই আশাবাদ করেন তিনি।

স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে পাকিস্তানের সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বৈষম্যের পরিসংখ্যানগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতির পিতা সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন এবং বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই তিনি এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর স্বাধীন করেছেন বলেই আজকে আমরা জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব যেমন করতে পারছি এবং উচ্চপদে প্রতিযোগিতাও করতে পারছি।’

বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও বিশ্ব দরবারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জয়ী হওয়ার মতো যোগ্যতাও অর্জন করতে পেরেছি। কাজেই এই ধারা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে, সেটাই আমি চাই।

সর্বক্ষেত্রে আমরা মনে করি যে, দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা দেশের উন্নয়নের জন্য একান্তভাবে প্রয়োজন। একটা ভিশন থাকতে হবে। লক্ষ্য থাকতে হবে। দেশটা কীভাবে এগিয়ে যাবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু আমাদের সকল কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

কারণ দেশটাকে উন্নত করতে হলে আমি মনে করি, আমাদের সব দিক থেকে এগিয়ে যেতে হবে। যেন আমাদের এই দেশ কোনোমতে পিছিয়ে না যায়। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কেন কারো থেকে পিছিয়ে থাকব। যে জাতি দেশের জন্য রক্ত দিতে পারে। সে জাতি কখনো পিছিয়ে থাকতে পারে না। পিছিয়ে ছিলাম একটি কারণে ১৯৭৫’এ জাতির পিতাকে হত্যার পর অবৈধভাবে যারা ক্ষমতাদখল করেছিল, স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় বসেছিল জাতির পিতা হত্যাকারীদের যারা পুরষ্কৃত করেছিল, বিচার করতে দেয়নি।

যাদের দুর্নীতিবাজ, মানুষের জমি দখল এগুলোই যাদের কাজ তারা দেশের উন্নয়নে তারা কখনো মনোনিবেশ করতে পারে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ছাড়া কখনো দেশ উন্নত হতে পারে না।

সমুদ্রসীমা জয় করার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা। এই সীমায় যে আমাদের অধিকার আছে ৭৫’র পরে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ কখনো দাবি তোলে নাই। জাতির পিতা ৭৪সালে সমুদ্রসীমা আইন করে যান। কিন্তু ৭৫’র পরে অবৈধভাবে ক্ষমতা-দখলকারীরা এ বিষয়টা নিয়ে কোনো কাজই করেনি। আমি সরকারে আসার পরে এটি নিয়ে কাজ শুরু করি। এরপর আটবছর ক্ষমতায় ছিলাম না। ২০০৯ সালে সরকারে এসে আমরা আবারো উদ্যোগ নেই এবং আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

ভারতের সঙ্গে স্থলসীমা চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫’র পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল কেউ কিন্তু এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনাও করেনি। বোধহয় সাহসই পায়নি। কারণ অবৈধ ক্ষমতাদখলকারীদের সাহস একটু কম থাকে। এটা হলো বাস্তবতা।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল চেয়ারপারসন লায়ন মো. আমিনুল ইসলাম লিটন এমজেএফ। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক আন্তর্জাতিক পরিচালক শেখ কবীর হোসেন।

৩ জুলাই ২০১৮ আমেরিকার লাস ভেগাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল’র ১০১তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ২১০টি দেশের ডেলিগেটদের ভোটে লায়ন কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ (পিএমজেএফ) আন্তর্জাতিক পরিচালক নির্বাচিত হন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন