বিজ্ঞাপন

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় আজ, নিরাপত্তা জোরদার

October 29, 2018 | 9:49 am

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকা কেন্দীয় কারাগারের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকালে এই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই।

নাজিমুদ্দিন রোডে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রসাশনিক ভবনে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন


এদিন সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে পুলিশ, আনসার এবং গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সদস্য মোতায়েন করা হয়। কারাগারের পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। একই সঙ্গে আশেপাশের গাড়ি চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

বিজ্ঞাপন


এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলতে বাধা নেই

সারাবাংলা/এআই/এমও

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন