বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার জেল আরও ৭ বছর

October 29, 2018 | 12:11 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত। এছাড়া এ মামলার অন্য তিন আসামিকেও ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে । একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।

আরও পড়ুন:৩১ অক্টোবরের মধ্যেই জিয়া অরফানেজ মামলার আপিল শেষ করতে হবে

বিজ্ঞাপন

রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন  আদালত। এছাড়া জরিমানা আনাদায়ে আসামীদের আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত এ রায় দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না খালেদা জিয়ার  আইনজীবীরাও।

আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় পড়া শুরু

বিজ্ঞাপন

তবে কারাগারে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকাল ১১টার দিকে বিচারক আদালতে প্রবেশ করেন। বিচারক প্রবেশ করার ৩০ মিনিট আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালত প্রবেশ করেন। সাড়ে ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। রায়ের দিন সকাল থেকেই আদালত ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন, খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় আজ, নিরাপত্তা জোরদার

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।  এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলতে বাধা নেই

মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

এর আগে সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে যান  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে( বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।

সারাবাংলা/এআই/এজেড/এমও/জেডএফ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন