বিজ্ঞাপন

‘নৌকা যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ দ্রুত এগোতে পারবে’

October 28, 2018 | 7:38 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

সাভার: আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, নৌকা যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ দ্রুত এগোতে পারবে। আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। তার জন্য প্রয়োজন নৌকায় ভোট। আমরা পরিশ্রম করছি দেশের জন্য। যতদিন ক্ষমতায় আছি, তা আমরা করে যাব।

তিনি আরও বলেন, এখানে যারা আছেন, তারা তরুণ। তারা সবাই স্বপ্ন দেখেন একটি উন্নয়নশীল বাংলাদেশের। তো চয়েস আপনাদের— আপনারা এগিয়ে যাবেন, না কি আবার আগের মতো পিছিয়ে যাবেন। তবে আমার বিশ্বাস, আপনারা আর পিছিয়ে থাকবেন না।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে শনিবার (২৭ অক্টোবর) তৃতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন শুরু হয়।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন আয়োজন শেষে লিঙ্গ বৈষম্য, সমাজ উন্নয়ন, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য গঠন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ক্যাটাগরিতে সেরা ৫০ সংগঠনের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে কাজ করায় ঢাকার অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশন, ফ্ল্যাগ গার্ল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বপ্নতরী ফাউন্ডেশন; সমাজ উন্নয়নে পঞ্চগড়ের নারী শক্তি জাগরণ ফাউন্ডেশন, রাঙামাটির জীবন, ফরিদপুরের তরু ছায়া, ঢাকার লাইট টু লাইফ, কুষ্টিয়ার তরুণ একাত্তর ও চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন; খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য গঠনে লালমনিরহাটের তায়াকোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশন ও রংপুরের সালান্দার হাই স্কুলের উইমেনস বাস্কেটবল টিম; স্কিল ডেভেলপমেন্টে চট্টগ্রামের ভোরের আলো, রংপুরের বিডি অ্যাসিসট্যান্ট, কুষ্টিয়ায় গুরুকূল, নারায়ণগঞ্জের প্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন; প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ক্ষমতায়নে ঝিনাইদহের একতা উন্নয়ন সংগঠন ও ময়মনসিংহের প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি;

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনে সুনামগঞ্জের পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থা, বরিশালের ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, নওগাঁর প্রাণ ও প্রকৃতি; শিক্ষা অন্তর্ভুক্তিতে মানিকগঞ্জের শিখার আলো পাঠশালা, খুলনার অনুশীলন ও মজার স্কুল, গাইবান্ধার স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইয়ুথ পাওয়ার ও মৌলভীবাজারের ইউনিভার্সিটি টি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন; উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা হিসেবে যশোরের প্রথম সূর্য অ্যাগ্রো ফার্ম ও সাতক্ষীরার সফল শ্রিম্প সার্ভিস সেন্টার এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সিলেটের অটিজম অ্যান্ড আর্ট ফাউন্ডেশন ও শিশু নাট এবং বরিশালের ঘুড়ি ফাউন্ডেশনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এর মধ্যে মোট ১০টি সংগঠনকে সেরা ঘোষণা করা হয়। এগুলো হলো— অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশন, নারী শক্তি জাগরণ ফাউন্ডেশন, তায়াকোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশন, ভোরের আলো, একতা উন্নয়ন সংগঠন, পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থা, শিখার আলো পাঠশালা, প্রথম সূর্য অ্যাগ্রো ফাউন্ডেশন, জীবন এবং সিলেটের অটিজম অ্যান্ড আর্ট ফাউন্ডেশন।

সেরা দশের বাইরে ২০টি সংগঠনকে সনদ ছাড়াও একটি করে ল্যাপটপ ও ট্যাব দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২১ আগস্ট ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের কার্যক্রম। ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন চাওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন আসে। এর মধ্য থেকে ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত করা হয়। পরে ৩০টি সংগঠনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করে ইয়াং বাংলা।

অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান যেমন আমরা ২০২১ সালের আগেই বাস্তবায়ন করেছি, তেমনিভাবেই ভিশন টুয়েন্টি ফোরটি ওয়ানও আমরা ২০৪১ সালের আগেই বাস্তবায়ন করব, ওয়াদা করছি। তবে তা বাস্তবায়ন করতে গেলে আপনাদের নৌকায় ভোট দিতে হবে। আমাদের স্বপ্ন, অনেক বড়। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশের স্বপ্ন দেখি। আরও স্বপ্ন দেখি, দেশ সম্পূর্ণ ডিজিটাল হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণার পর কটাক্ষ শুনতে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আইসিটি উপদেষ্টা জয় বলেন, ১০ বছর আগে যখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলতাম, তখন সবাই আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করেছে। অ্যাটিচিউড এমন ছিল যে বাংলাদেশে কিছুই সম্ভব না। সেখান থেকে আমরা নিজেরাই সম্পূর্ণটা করেছি। বিশ্ব ব্যাংকের কনসালট্যান্ট এনে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করিনি। এখন আমরা বিশ্বের অনেক দেশকে ডিজিটাল দেশ বানাতে সহযোগিতা করছি। মালদ্বীপ, ভুটান, সোমালিয়া, পেরু, ফিলিপাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশকে আমরা ডিজিটাইলজ করতে সাহায্য করছি। আমরাই এখন আইটিতে বিশ্বে শক্তিশালী দেশ হিসেবে পরিচিত হচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি ভাবতাম, দেশ কোন দিকে যাচ্ছে! সোনার বাংলা শেষ হয়ে যাচ্ছে! কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদের অপবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। নামের আগে শুধু জাতীয়তাবাদ থাকলেই হয় না, কাজে করে দেখাতে হয়। আওয়ামী লীগ কাজ করে দেখায়। আমরা জানি, কীভাবে দেশের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে ও সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান।

সারাবাংলা/এটি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন